Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ময়ূরাক্ষীর সেতু

একের পর এক সেতু দুর্ঘটনা ঘটছে। তার পরেও সেতুগুলির উপরে যে নজরদারির অভাব আছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেতুর চেহারায়। হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়কের উপর বড়ঞা ব্লকের ময়ূরাক্ষী নদীর উপর বিপ্লবী ননী সেতুর বেহাল অবস্থা।

ময়ূরাক্ষীর উপরে বিপ্লবী ননী সেতু। নিজস্ব চিত্র

ময়ূরাক্ষীর উপরে বিপ্লবী ননী সেতু। নিজস্ব চিত্র

কৌশিক সাহা
কান্দি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৮
Share: Save:

একের পর এক সেতু দুর্ঘটনা ঘটছে। তার পরেও সেতুগুলির উপরে যে নজরদারির অভাব আছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেতুর চেহারায়। হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়কের উপর বড়ঞা ব্লকের ময়ূরাক্ষী নদীর উপর বিপ্লবী ননী সেতুর বেহাল অবস্থা। সেতুর উপরে থাকা পিচের চাদর উঠে গিয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সেতুর উপরের ঢালাই উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে রড। আর সেতুর এমন চেহারা দেখে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দা ও যানবাহনের চালকেরা।

হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়ক হলেও ওই সড়কে জাতীয় সড়কের মতোই যানবাহন চলে। মূলত কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের প্রধান রাস্তা এটাই। পণ্যবোঝাই গাড়ি যেমন যাতায়াত করে, তেমনি বহু সরকারি ও বেসরকারি বাস যাতায়াত করে ওই সেতুর উপর দিয়েই। বীরভূম জেলার পাথর খাদান থেকে পাথর বোঝাই ভারী যানবাহনও যাতায়াত করে। একই ভাবে ময়ূরাক্ষী নদী থেকে বালি বোঝাই করে ওই সেতু পেরিয়ে গাড়ি যায় বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূম জেলায়। একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ওই সেতুর উপর দিয়েই জেলা সফরে এসেছেন। সেতুটির গুরুত্ব থাকার পরেও সেতু

অভিযোগ, এমন গুরুত্ূপূর্ণ সেতু। অথচ, সেতুর বেহাল দশা জেনেও কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। পণ্যবাহী এক গাড়ির চালক তরুণ পাল বলছেন, “আমরা কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বহরমপুর হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার থেকে বাদশাহি সড়ক ধরে রাস্তা যেমন কম হয়, যানজটও অনেক কম। তবে এখন ময়ূরাক্ষী নদীর উপরের সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই খুব ভয় করে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মাঝেরহাটে যা ঘটল, তার পরেও তো কারও এই সেতু নিয়ে মাথাব্যথা নেই। এখন যা অবস্থা তাতে বিপদের আগে কারও যেন টনক নড়ে না। এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উওরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দা সামানউল্লা বলেন, “বাদশাহি সড়কটি থাকায় এলাকার ব্যবসা হচ্ছে। সেতুর যা অবস্থা তাতে দ্রুত সেটা সংস্কার করার প্রয়োজন।” সেতুর এমন অবস্থায় বেজায় ক্ষুব্ধ বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক। তিনি বলেন, “সেতুতে দীর্ঘ দিন কোনও সংস্কার না হওয়ার এই অবস্থা। পূর্ত দফতরের নজরদারির অভাবেই সেতুগুলির হাল এমন বেহাল। আমরা চাই না এলাকায় মাঝেরহাটের মতো কোন দুর্ঘটনা ঘটুক।”

যদিও ওই সেতুর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়ে পূর্ত দফতরের বহরমপুর ২ বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক দীপনারায়ণ শীল বলেন, “ময়ূরাক্ষী নদীর সেতুর অবস্থা আমাদের নজরেও এসেছে। ওই খানাখন্দগুলি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সেতুর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালই আছে। উদ্বেগের কিছু নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Flyover Mayurakshi River Poor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE