দোকানে বিক্রি হচ্ছে শব্দবাজি। — ফাইল চিত্র।
কালীপুজোর পর ছট পুজোতেও শব্দবাজির দৌরাত্ম্য কমল না।
এবারও জেলার অন্যান্য এলাকাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে থাকল সেই কল্যাণী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নামতেই একটা দুটো করে বাজির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে রাত যত গভীর হয়েছে ততই বেড়েছে শব্দ বাজির দাপট। পাশাপাশি চাকদহ সহ কৃষ্ণনগরে কিছুটা হলেও বাজির শব্দ শোনা গিয়েছে। যদিও সেটা ছিল অন্যবারের তুলনায় কিছুটা কম।
নদিয়া জেলায় কল্যাণী ও চাকদহের বাইরে ছট পুজোর বিশেষ প্রচলন নেই। কৃষ্ণনগর শহরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছট পুজো করে থাকেন। অন্যান্য বার ছট পুজোর শোভাযাত্রাতেই বাজি পোড়াতে দেখা গেলেও এবার তেমন দৃশ্য বিশেষ দেখা যায়নি। তবে জলঙ্গি নদীর কদমতলা ঘাটে বেশ কিছু শব্দবাজি পুড়তে দেখা গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় গাংনাপুর এলাকায় বাজি ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একের পর এক শব্দ বাজিতে অতিষ্ঠ অনেকেই। মাঝে মাঝেই একটানা শব্দ বাজি ফেটেছে বলেও এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। চাকদহ থানা এলাকায় তেমন বাজি ফাটার শব্দ শোনা যায়নি। তবে এদিন গভীর রাতেও বাজির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরও এই দিনে শব্দবাজির দাপট ছিল।
তবে কল্যাণীতে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজির শব্দও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জেএনএম হাসপাতালের আবাসনের কাছে, কল্যাণী সীমান্তের ভুট্টা বাজার, গাঁধী হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি কাছারিপড়া এলাকায় বরাবরের মতো এবারও বাজির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। শুধু তাই নয়, অন্যান্য বারের মতো এবারও বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বাজির শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে।
এই বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজকে। তবে জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, লাগাতার অভিযান চালানোর ফলে এবার তেমন শব্দ বাজি ফাটেনি। লুকিয়ে চুরিয়ে যা ফেটেছে তার সংখ্যাও সামান্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy