Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
mann ki baat

Dilip Ghosh: পার্থসারথীর সঙ্গে ‘মন কি বাত’ দিলীপ ঘোষের

এ দিন রানাঘাটের পর দিলীপ যান তাহেরপুরে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ অনুমোদিত ‘বস্ত্র উদ্যোগ কর্মচারী মহাসঙ্ঘে’র একটি অনুষ্ঠানে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সম্রাট চন্দ , সৌমিত্র সিকদার
নদিয়া শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ০৭:৪২
Share: Save:

আচমকা নদিয়ায় এসে দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরই বাড়ির কাছে শামিয়ানা টাঙিয়ে টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত অনুষ্ঠান দেখলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার দুই নেতার এই ‘সাক্ষাৎ’-য়ের পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘দিলীপদার তাহেরপুরে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। সকালেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানও ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা সবাই শুনি প্রতি মাসে এই অনুষ্ঠানে। রানাঘাটে তা শোনার আয়োজন ছিল। দিলীপদার যাওয়ার পথে সেটা দেখে যান।’’

এ দিন রানাঘাটের পর দিলীপ যান তাহেরপুরে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ অনুমোদিত ‘বস্ত্র উদ্যোগ কর্মচারী মহাসঙ্ঘে’র একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ও বঙ্কিম ঘোষ থাকলেও সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে খবর। সেটাও অনেকের চোখে লেগেছে। যদিও জগন্নাথ বলেন, ‘‘আমি জেলায় ছিলাম না। দিল্লিতে ছিলাম। রবিবার দুপুরেই ফিরেছি। তাই ওই অনুষ্ঠানের কথা আমার জানা নেই।’’ বস্ত্র উদ্যোগ কর্মচারী মহাসঙ্ঘের সম্পাদক জ্ঞানমোহন বসাকও বলেন, ‘‘জগন্নাথবাবু দিল্লিতে থাকায় তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি।’’

অতি সম্প্রতি বাংলা বাদ দিয়ে অন্য আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁর এই দায়িত্ববৃদ্ধি রাজনৈতিক উত্থান না কি বাংলা থেকে তাঁর অপসারণ, তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গোটা দেশেই ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করছে বিজেপি। তাতেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম, নাগাল্যান্ডে সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দিলীপকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দিন রানাঘাটে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় দল না হলে চলবে কী করে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।’’

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই তাঁকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। তার পরেও নির্দিষ্ট করে কোনও দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। বাংলাতে তো নয়ই, দেশের অন্য কোনও রাজ্যেও নয়। দীর্ঘ সময় দিলীপ নিজের মতো করে রাজ্যে কাজ করেছেন। তবে ক্রমশই তাঁর সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে এসে অমিত শাহ রাজ্যের প্রধান নেতাদের নিয়ে যে বৈঠক করেন তাতেও দিলীপকে ডাকেননি।

তাহেরপুরের অনুষ্ঠানে এ দিন শিল্পীদের ‘আর্টিজান কার্ড’ বিলি করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কার্ড সরকারি দফতরের মাধ্যমে না দিয়ে একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে কী ভাবে দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল ও সিপিএম।

অন্য বিষয়গুলি:

mann ki baat Dilip Ghosh BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy