আইনের তোয়াক্কা না করে ময়ূরাক্ষী নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সমস্ত কিছু জানার পরেও হাত গুটিয়ে বসে আছেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। কান্দি মহকুমার মধ্যে বড়ঞা, ভরতপুর ১ ও কান্দি ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী। ওই ব্লক এলাকায় নিয়ম না মেনে বালি তোলার কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
কান্দি মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক অচিন্তম ঘোষ বলেন, “বালির ঘাট নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা ব্লকে বা আমার অফিসে জানালে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারব। আমি দফতরের প্রত্যেক ব্লক আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছি, নদীর যে এলাকা থেকে বালি তোলা হবে দ্রুত সেই জায়গা চিহ্নিত করতে।” স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এমনিতেই ময়ূরাক্ষীতে বালি কম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ সংস্কার হয়েছে মাস্টার প্ল্যানের কাজে। কিন্তু বর্তমানে নদীতে বাঁধের খুব কাছে থেকে মেশিনের সাহায্যে পাইপ দিয়ে নদী থেকে বালি তোলার কাজ হচ্ছে। একই সঙ্গে নদীর যে এলাকা বালির ঘাট হওয়ার কথা, সেই এলাকাতেও বালির ঘাট হচ্ছে না। ফলে নদীর মজবুত বাঁধ কেটে বালি তোলার জন্য রাস্তা করছে বালির ঘাটের ইজারাদাররা। ফলে দুর্বল হচ্ছে ওই নদীর মজবুত বাঁধ। ওই নদীর ধারে বড়ঞা ব্লকের সাহোড়া, পানুটিয়া, তালবোনা, মড্ডা, পছিপাড়া, নারায়ণপুর–সহ একাধিক গ্রাম আছে। একই ভাবে ভরতপুর থানার আমলাই, চুঁয়াতোড়, আঙ্গারপুর-সহ একাধিক গ্রাম, কান্দির হিজল, আন্দুলিয়া অঞ্চলের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে নদী থেকে বালি নিয়ে লরি যাতায়াত করায় রাস্তা খারাপ হচ্ছে।
নদীর বক্ষে একটা এলাকার লিজ দেওয়া হয়, যেখান থেকে বালি বিক্রি করা হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা জায়গা থেকে বালি কাটা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, বালির ঘাটের চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। ইজারাদারদের ওই চিহ্নিত এলাকার মধ্যে থেকেই বালি খননের কাজ করতে হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)