নিজস্ব চিত্র
ভোরের আলো ফুলতে না ফুটতে চাকদহ স্টেশনের পাশে সিংহের হাটে একে একে জড়ো হতে থাকেন চাষিরা। কেউ মাথায় করে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ বা লছিমনে জিনিস চাপিয়ে হাজির হন এই সিংহের হাটে। হাজির হন ফরে, পাইকারি খরিদ্দারেরা। ঘেঁষাঘেষি ভিড়ে বেলা পর্যন্ত চলে বিকিকিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আবহে সরকার নির্দেশিত সামাজিক বা পারিপার্শ্বিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানও আগের মতোই চলছে হাট। অনেকেরই আশঙ্কা, হাটে জমায়েত নিয়ন্ত্রিত না-হলে বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
একই রকম ভাবে বসছে চাকদহের বিষ্ণুপুর হাট। এক্কেবারে আগের মতোই প্রতিদিন বসছে মদনপুরের আনাজের হাটও। সেখানেও শয়ে-শয়ে মানুষের ভিড়। রোগ সংক্রমণ নিয়ে কারও কোনও ভাবান্তর নেই। যদিও প্রতি শুক্রবার চাকদহে যে কাপড়়ের হাট বসত তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে।
করোনা-সংক্রমণ আটকাতে জেলার বিভিন্ন বাজারগুলিকে ফাঁকা মাঠে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু প্রায় কোথাওই গ্রামের হাট নিয়ে কিছু ভাবা হয়নি। সেগুলি বেশির ভাগ একই রকম থেকে গিয়েছে।
যেমন, একেবারে মুর্শিদাবাদ লাগোয়া রাজাপুরের আনাজের হাট এখনও প্রতিদিন বসছে। তবে ভিড় কমেছে আগের থেকে। আবার করিমপুর কিষাণ মান্ডিতে এখনও রোজ সকালে আনাজের হাট বসছে। বহু লোক সেখানে আসছেন। মহিষবাথান, নাজিরপুর, বেতাই এলাকায় একই ভাবে সপ্তাহে দু’দিন করে হাট বসছে। সেখানেও উপচে পড়া ভিড়। তবে ধুবুলিয়ার বুধবারের হাট ও ধুবুলিয়া বটতলার আনাজের হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রমরমিয়ে চলছে হাঁসখালির ময়ূরহাটের হাট। ভৈরবচন্দ্রপুর, গাঁড়াপোতা, বেনালি, ভাইনা-র হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই হাটে ভিড় বেড়েছে আরও বেশি। বগুলা হাটে ভেঙে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদকুল্লার ধানের হাট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাশের ক্লাবের মাঠে। বীরনগরের হাটও পাশের মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার শান্তিপুরের গোবিন্দপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে প্রতিদিন একই ভাবে আনাজের হাট বসছে। সেখানেও প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন।
যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, তারা হাটের বিষয়টিকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। স্থানীয় ভাবে কথা বলে হাটগুলিকে হয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, না হয় পাশের মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, ‘‘আমরা হাটের ক্ষেত্রে বাজারের মতোই পদক্ষেপ করছি। তা-ও যদি কোনও হাটে এখনও একই রকম সমস্যা থাকে তা হলে অবিলম্বে সে গুলি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy