করোনায় রক্ষা নেই, দোসর হয়েছে ডেঙ্গি। করোনা সংক্রমণের মাঝে ডেঙ্গির প্রভাবও বাড়ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছর জানুয়ারি থেকে জুনের ১৯ তারিখ পর্যন্ত যেখানে ৩৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে এ বছর ৪৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
তবে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, করোনার মাঝে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভা কর্তৃপক্ষ। মার্চ থেকে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্বাস্থ্যকর্মীরা ডেঙ্গির বিষয়ে বাসিন্দাদের যেমন সচেতন করছে, তেমনই মশানাশক স্প্রে করছে। তবে শহরাঞ্চলে মশানাশক স্প্রে করলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা ও সচেতনতার বিষয়টি এখনও শুরু হয়নি।
মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতমধ্যে পুরসভা, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যেমন কাজ চলছে, তেমন ভাবে করোনা আবহের মাঝে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি স্প্রে, ফগিং করা হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্য থেকে একটি নির্দেশিকা এসেছে। তাতে পুরসভা এলাকায় মশাকনাশক স্প্রে ও ফগিংয়ের নির্দেশ থাকলেও, ডেঙ্গির বিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কথা পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কী কারণে কাজ শুরু হয়নি, তাও রাজ্য থেকে পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন সকলে করোনা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে দ্রুত শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে।’’ তবে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা, সচেতনতার পাশাপাশি মশানাশক স্প্রে ও ফগিং করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছরে ৪৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ‘‘বর্ষাকালে ডেঙ্গির প্রভাব বাড়ে। ইতিমধ্যে জেলায় বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। ফলে এখন থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে করোনার মতো ডেঙ্গিও আমাদের ভোগাবে।’’
গত কয়েক বছর থেকে পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ করে জেলাপরিষদ এবং শহর এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে কাজ করত। এ বার করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকার সব কাজ দেখভাল করতে হচ্ছে জেলাপরিষদকে। জেলাপরিষদ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার জন্য ২৬৭৬টি ভেক্টর কন্ট্রোল টিম তৈরি করা হয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা ৩৪০০। এলাকায় স্প্রে ও ফগিংয়ের করার জন্য ৯৮০টি দল করা হয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা ২২০৫জন। তাঁদের কাজ দেখভালের জন্য রয়েছে ৩৬৭ জন সুপার ভাইজার। এই সব কর্মীরা গত মার্চ থেকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাজও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy