প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে স্কুলেরই এক রাঁধুনিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিহত ওই ছাত্রীর নাম ঝর্ণা খাতুন (৭)। বাড়ি ভগবানগোলার মহম্মদপুর-নতুন কাজিপাড়া গ্রামে। শুক্রবার স্কুল থেকে সামান্য দূরে একটি ঝোপের ভিতর থেকে ওই ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘ধৃতের নাম নুরবানু বিবি। তার বাড়িও মহম্মদপুর-নতুন কাজিপাড়া গ্রামে। ওই ছাত্রীর সোনার দুল খুলে নিতে তাকে অপহরণ করার পরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর শরীরের বেশ কিছু অংশ শেয়াল-কুকুরে খুবলে খেয়েছে। দু’টি হাত ও একটি পায়ের হদিশ মেলেনি। গত বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় মহম্মদপুর-নতুন কাজিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। ঝর্ণার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে মিলন শেখ জানান, বাড়ি থেকে মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথের দূরত্বে মেয়ের স্কুল। বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশের মুদিখানার দোকান থেকে লজেন্স কিনে সে স্কুলের পথে রওনা দেয়। কিন্তু স্কুলে ছুটির পরও ঝর্ণা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়ে দেন, ওই দিন ঝর্ণা স্কুলেই যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার হদিশ না মেলায় পরের দিন, বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন মিলন।
শুক্রবার সকালে স্কুল লাগোয়া খেতে কাজ করতে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী ঝন্টু শেখ দেখেন, ছোট্ট একটা ঝোপের ভিতর কয়েকটা কুকুর কী যেন খাচ্ছে। ভাল করে নজর দিতেই তিনি দেখেন, ওটা একটি শিশুর দেহ। তিনি খবরটা জানাতেই গ্রামের লোকজন ছুটে যান। আসে পুলিশ। ছিন্নভিন্ন ফ্রক, বই-খাতা ভর্তি স্কুলব্যাগ, রূপোর তোড়া দেখেই মেয়েকে শনাক্ত করেন মিলন ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা বিবি। হাসিনার অভিযোগ, ‘‘মিড ডে মিলের রাঁধুনি নুরবানু বিবি বুধবার আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপরেই মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়ের কানের দু’আনা সোনার দুল হাতাতেই নুরবানু আমার মেয়েকে খুন করেছে।’’ পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কী ভাবে ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy