আশঙ্কাটা ছিলই। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, পুলিস দিয়ে সমস্যা মেটানো হবে। তার জন্য জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। গম খেত ভাঙতে গিয়ে চাষিদের হাতে প্রহৃত হলেন কৃষি দফতরের কর্তা ও আধিকারিকেরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ডোমকলের গড়াইমারি শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের এই ঘটনায় প্রশাসনের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
সমস্যাটা গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল। প্রশাসনের পরামর্শ উপেক্ষা করে গম বুনেছেন যাঁরা, তাদের গমখেত ভাঙতে গিয়ে বাধা পেতে হচ্ছিল। সোমবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ডোমকলের ডুমুরতলা গ্রামে গিয়ে গম খেতে নামতে বাধা পেতে হয়।ফিরে আসে পুলিশ-সহ কৃষি দফতরের কর্তারা। প্রশাসন জানিয়েছিল আরও বেশি পুলিশ নিয়ে গিয়ে গম খেত ভেঙে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার গড়াইমারি গ্রামে গম খেত ভাঙতে যায় পুলিশ। গম খেতে ট্রাক্টর নামাতেই চাষিরা তার সামনে শুয়ে পড়ে বাধা দেয়। উত্তেজিত চাষিরা মহকুমা-সহ কৃষি অধিকারিক মিরাজুল ইসলামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় ব্লক-সহ কৃষি অধিকারিক রমেন মণ্ডলকে। বাকিরা কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন। বিক্ষোভ পুলিশ কোনও রকমে কৃষি দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের উদ্ধার করে আনে।
ডুমুরতলায় বাধা পেয়ে ফিরে আসার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে বিদ্রোহ ছড়ায় অন্যান্য এলাকায়। এলাকার এক চাষির কথায়, ‘‘একে ডাল-বীজ নিয়ে দলবাজি হয়েছে। আবার গমখেত ভাঙা নিয়েও সেটাই শুরু করেছে প্রশাসন। তা না হলে ডুমুরতলায় কেন তারা গম না ভেঙে ফিরে গেল? আগে ডুমুরতলার গম খেত ভাহতে হবে। নিয়ম সবার জন্যই সমান হোক।’’
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপশ কুণ্ডু বলেন, ‘‘দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনা ঘটেছে। আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy