চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
নেশার ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায়। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা দায়ের করেন লিখিত অভিযোগ। তার ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে অভ্র বিশ্বাস নামে এক স্থানীয় যুবককে। ওই একি অভিযোগে অভ্রর এক সঙ্গীর সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
হাঁসখালির ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকা তার দাদাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল। রাত ৯টা নাগাদ দাদা বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু বাড়ি ফেরেনি ওই নাবালিকা। নাবালিকার পরিবারের দাবি, তাঁরা রাতভর চেষ্টা করেও খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও খোঁজ পাননি ওই নাবালিকার। তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই নাবালিকা রয়েছে। এর পর নিজেই বাড়ি ফেরে ওই নাবালিকা। নাবালিকার অভিযোগ, ‘‘দাদাকে যখন খুঁজতে যাচ্ছিলাম তখন রাস্তা থেকে অভ্র’দা এবং তার এক সঙ্গী আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে আমাকে বাড়ি থেকে টাকাপয়সা নিয়ে আসতে বলে ওরা। আমি অস্বীকার করলে আমাকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। আমি বাড়ি থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে ওদের দিই। তার পর আমাকে গ্যাঁড়াপোতা সেতুর পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওষুধের মত কী একটা আমাকে খাইয়ে দিয়েছিল।’’
নির্যাতিতার মামা জানিয়েছেন, তাঁর ভাগ্নী যখন বাড়ি ফিরে এসেছিল তখন তার পোশাকআশাকে রক্ত লেগেছিল। এর পর শুক্রবার হাঁসখালি থানায় অভ্র এবং তার সঙ্গীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত অভ্রকে। এ কথা জানিয়েছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কান্নান। তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy