পরিবারে ছিল তিনটি পোষ্য। হিংস্র পিটবুল প্রজাতির কুকুরগুলির সঙ্গে দারুণ সখ্য ছিল পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য এলিজ়ার। সেই পিটবুল যে একরত্তি শিশুর প্রাণ কেড়ে নেবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এলিজ়ার বাবা-মা। মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী রইল ওহায়োর কলম্বাসের বাসিন্দা এই পরিবারটি। তিনটি পোষা কুকুরের মধ্যে একটি পিটবুলের আক্রমণে মারা গিয়েছে সাত মাসের এলিজ়া। ঘটনায় হতবাক তার পরিবারও। আচমকা এই আক্রমণের কারণ খুঁজে বার করতে পারছে না শোকাচ্ছন্ন পরিবারটি।
আরও পড়ুন:
শিশুর মা ম্যাকেঞ্জি কোপলি ফেসবুকে একটি পোস্টে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না কেন এই ঘটনাটি ঘটল!’’ তিনি তাঁর মেয়ে এলিজার সঙ্গে কুকুরদের আলিঙ্গন করার ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে তিনি জানান, এই পোষ্যটিই প্রতি দিন তাঁর সন্তানের পাশে পাশে থাকত ও খেলা করত। কলম্বাস পুলিশের সার্জেন্ট জেমস ফুকুয়া জানিয়েছেন, সাউথ চ্যাম্পিয়ন অ্যাভেনিউয়ের ৩৭০০ ব্লকে অবস্থিত একটি বাড়ির বাসিন্দা ছোট্ট শিশুকে তাঁদের পোষ্য কুকুর কামড়েছিল। তাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়। তিনটি কুকুরকে ‘ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি অ্যানিম্যাল কন্ট্রোল’ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর কুকুরগুলির ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন:
কয়েক মাস আগে ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল এই ওয়াহোতেই। ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধাকে কামড়ে খুবলে খেয়েছিল প্রতিবেশীর পোষা দুই ভয়ঙ্কর পিটবুলই। নিজের বাগানে গাছের যত্ন নিচ্ছিলেন বৃদ্ধা। আচমকাই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুর দু’টি। পুলিশ এসে কুকুর দু’টিকে গুলি করতে বাধ্য হয়। আহত হয়েও একটি কুকুর পাল্টা আক্রমণ করতে তেড়ে এসেছিল বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। গুলিতে মারা যায় কুকুর দু’টি।