ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে জেলায় কিছু এলাকায় অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ-ধুলিয়ানে যে ঘটনা ঘটল, তার জন্য আমরা মুর্শিদাবাদবাসী অত্যন্ত লজ্জিত, আমরা দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন কোথাও না হয়। সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বলছি, আপনারা নমাজের পরে মাইকে শান্তির কথা বলুন, সম্প্রীতির কথা বলুন, আইন মেনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা প্রচার করুন। ঐক্যবদ্ধ ভাবে, জোটবদ্ধ ভাবে প্রশাসনকে সঙ্গে রেখে তাঁদের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করার কথা বলুন। নিয়ন্ত্রণহীন আন্দোলন করবেন না।
জেলা জুড়ে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ মসজিদের ইমাম আছেন, আপনাদের প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে প্রচার করুন। অশান্তিকে প্রশ্রয় দেবেন না। আন্দোলনকারীদের সংযত ভাবে আন্দোলন করার কথা বলব, সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসনকে কঠোর হতে বলব। আপনারা সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করুন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করুন। কিন্তু কোথাও ভাঙচুর করবেন না, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবেন না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। কাউকে কটূক্তি করবেন না, কাউকে আঘাত করবেন না। কখনওই আইন-শৃঙ্খলা নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। সম্প্রীতি নষ্ট করবেন না। ‘প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াতে হবে। সে কোন ধর্মের দেখা চলবে না’— এটাই শিক্ষা দেয় ইসলাম। তাই সকলকে বলব কে কোন ধর্মের না দেখে প্রতবেশীর পাশে দাঁড়ান। প্রতিবেশীর বিপদে পাশে দাঁড়ান।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ করে বিজেপি সরকার আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। তার প্রতিবাদ হচ্ছে। বহু অমুসলিম সাংসদ ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করেছেন। আমাদের আন্দোলন কেন্দ্রের কালো আইনের বিরুদ্ধে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)