—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসার ঘটনায় মৃত্যুমিছিল চলছেই। শনিবার ভোট চলার সময়ে নদীয়ার কৃষ্ণনগরে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক সিপিএম কর্মী। সোমবার মৃত্যু হল তাঁর। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
শনিবার নির্বাচনের দিন দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে জখম হন স্থানীয় সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলি শেখ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার মৃত্যু হল তাঁর। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করে মৃত ব্যক্তির পরিবারে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার ভালুকা আনন্দবাসের ২৩২ নম্বর বুথ থেকে ভোট দিয়ে ফিরছিলেন শুকুর আলি শেখ। সে সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বোমার আঘাতে তিনি লুটিয়ে পড়লে বাঁশ, রড এবং লাঠি দিয়ে শুকুরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজিও করে বলেও অভিযোগ। সেই বোমার আঘাতে শুকুর-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শুকুরের পরিবার। আনন্দবাস এলাকার ২৩২ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী শুকুরের পুত্রবধূ সৌমিতা বিবি। প্রার্থীর আত্মীয় হওয়ার পাশাপাশি শুকুর এলাকার একজন পরিচিত সিপিএম কর্মীও বটে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
ভোটের দিন রাজনৈতিক হিংসায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে পরিসংখ্যান পেশ করেছে, তাতে এই সংখ্যাটা ১০।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy