—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের গোটা দিন জুড়েই হিংসা, সন্ত্রাস আর রক্তপাত দেখেছে গোটা বাংলা। ভোটের পরের দিনও সেই ধারা বজায় থাকল। রবিবার রাতেও রক্ত ঝরল। নদিয়ায় শাসক তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হলেন এক সিপিএম কর্মী। সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলেও ভোটের দিন রক্তের দাগ লাগেনি বীরভূমে। কিন্তু রবিবার ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে রক্তপাত হল অনুব্রত মণ্ডলের জেলায়। বোমাবাজির জেরে জখম হলেন এক কিশোর-সহ চার জন তৃণমূল কর্মী।
ভোটের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই বিভিন্ন অশান্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিরোনামে ছিল মুর্শিদাবাদ। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে শনিবার ভোটের দিন পর্যন্ত মোট ৩০ দিনে সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের দিনই জেলার চার জায়গা— লালগোলা, রেজিনগর, খড়গ্রাম ও নওদা মিলিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোট চলাকালীন বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু ভোট মিটলেও অশান্তি মেটেনি মুর্শিদাবাদে। রবিবারও গোটা দিন জুড়েই তেতে ছিল জেলার শমসেরগঞ্জ, রানিনগর, ফরাক্কা এবং সালার।
শনিবার মুর্শিদাবাদের রেজিনগর ও খড়গ্রামে নিহত ইয়াসিন শেখ (৫৩) ও সত্তরুদ্দিন শেখ (৫০) তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। লালগোলায় রওশন আলি (৪২) সিপিএম সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। নওদায় নিহত হাজি নিয়াকত আলি (৬০) কংগ্রেস কর্মী। তাঁর ভাইপো পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও। রবিবার নিয়াকতের বাড়িতে যান অধীর চৌধুরীও। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী, এত খুন করেও আপনি মহান হবেন? কয়েকটা সিটে হারলেও সরকার আপনারই থাকত, তা হলে এত খুন কেন?’’ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন অধীর। তাঁকে পাল্টা বিঁধেছে শাসক তৃণমূলও। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সারা রাজ্যের পাশাপাশি এই জেলাতে সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। হার্মাদদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ফের মুর্শিদাবাদে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। হার নিশ্চিত জেনে এখন এ সব নাটক করছেন অধীরবাবু!’’
রবিবার রক্ত ঝরেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটেও! সেখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ এবং তার জেরে অশান্তির পরিস্থিতি থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। মাথা ফেটেছে তিন পুলিশকর্মীর। আবার হাওড়ায় নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ তুলে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় শনিবার ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে রবিবার সেখানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, সরকারি বাস-সহ বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারেও। সেখানে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। স্ট্রং রুমে ঢুকে ব্যালট পেপার বদলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে রাতে উত্তাল হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকও। সেখানে তমলুক নগর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের উপর পোড়ানো হয় বেশ কিছু বাইকও।
নাকাশিপাড়ায় রক্তপাত
ভোট পরবর্তী হিংসায় অশান্ত হল নাকাশিপাড়া। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিপিএম সমর্থক। তাঁর নাম সজ্জাদ মণ্ডল। তিনি বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে প্রতি দিনের মতো কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন পাটুয়াভাঙ্গা ২৫২ নম্বর বুথের বাসিন্দা সাজ্জাদ এবং তাঁর ভাই তারিকুল। সেই সময় দুই ভাইকে রাস্তার পাশে একটি দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ সিপিএম সমর্থক নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ত্যাগ করে সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বেশ কয়েকটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বাইক ছেড়ে পালাতে শুরু করেন সাজ্জাদ ও তারিকুল। পাশের বাড়ির প্রাচীর টপকে লুকোতে যাওয়ার সময় একটি বুলেট সাজ্জাদকে বিদ্ধ করে। দুষ্কৃতীরা এলাকা ঘিরে রাখায় প্রায় দু’ঘণ্টা সেখানে আত্মগোপন করেছিলেন সাজ্জাদ। ঘন্টা দুয়েক পর পরিবারের লোকেরা এসে সাজ্জাদকে উদ্ধার করেন। কোনও ক্রমে ৮টা নাগাদ বেথুয়াডহরী গ্রামীণ হাসপাতালে আহত সাজ্জাদকে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে স্থানান্তরিত করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। শাসক তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বীরভূমে বোমাবাজি
রবিবার রাতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল বীরভূমে। বোমার ঘায়ে জখম হল এক কিশোর। তাকে পাইকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাইকর থানার কুতুবপুর গ্রামে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে রাতে। সেই সময়ই বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। জখম হয়েছেন তৃণমূলের তিন সমর্থকও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছে পাইকর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট নিয়ে প্রথমে বচসায় জড়ান তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সমর্থকেরা। সেই বচসা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময়ই বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ওই এলাকাতেই সেই সময় তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গেই ছিল ওই কিশোর। বোমার ঘায়ে সে জখম হয়। এই ঘটনার পরেই গ্রামে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে।
আবার অশান্ত মুর্শিদাবাদ
ভোট মিটলেও অশান্তি মেটেনি মুর্শিদাবাদে। রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং রানিনগর। শমশেরগঞ্জে তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। শমসেরগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রানিনগরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শমসেরগঞ্জের হীরানন্দপুর এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। তৃণমূল এবং নির্দলের এই দু’পক্ষের সংঘর্ষে বাধে। দু’পক্ষের কয়েক জন কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকা থেকে ফাটা বোমার খোল উদ্ধার করে পুলিশ। শমশেরগঞ্জ থানারই দুর্গাপুর থেকে বেশ কিছু তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ, বেলডাঙায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতভর তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট এবং ভাঙচুর চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে সকাল ১০টা নাগাদ বেলডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কংগ্রেস। বহরমপুর পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘কোনও রকম অভিযোগ পেলেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’ অন্য দিকে, রানিনগর থানার চাকরানপাড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী সমর্থককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোধনপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁদের মধ্যে মেরাজ শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। কংগ্রেস অবশ্য তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাতে উত্তপ্ত হয়েছে খড়গ্রামও। সেখানে ব্যালট বাক্স বদলের গুজবকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত ‘হয়েছে’ পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ট্রংরুমের ভিতর থেকে সিল করা ব্যালট বাক্স বদলে ফেলা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে স্ট্রংরুমের সামনে ব্যাপক জমায়েত শুরু করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে বাড়তি বাহিনী-সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছন খড়গ্রাম থানার ওসি। অভিযোগ, জমায়েত সরাতে গেলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ ভ্যান। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মগরাহাটে আক্রান্ত পুলিশ
তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের নৈনান এলাকায়। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। রাজনৈতিক হানাহানিতে জখম হলেন তিন পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন এসআই এবং দুই কনস্টেবল রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই নৈনান এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় শাসক তৃণমূল ও কংগ্রেস। ওই ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। অভিযোগ, সেখানে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করেন। তাতে মাথা ফাটে পুলিশ কর্মীদের। ঘটনায় জখম হয়েছেন এসআই আরিফ মহম্মদ এবং দুই কনস্টেবল— লাল্টু ও প্রসেনজিৎ। এর পরেই ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে নির্দল প্রার্থীর আত্মীয়ের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে বাড়িতে থাকা দু’টি বাইক এবং আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ বড়গাছিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের নির্দল প্রার্থী শেখ শফিকুল ইসলামের ভাইয়ের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় দু’টি বাইক এবং বাড়ির আসবাবপত্র। জগৎবল্লভপুরের পার্বতীপুর শেখপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল আগে তৃণমূল সমর্থক ছিলেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় এলাকায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-কে সমর্থন করেন তিনি। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শফিকুল। তাঁর দাবি, রবিবার রাতে তৃণমূলের ভয়ে জগৎবল্লভপুর থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশের আশ্বাসে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁর বাড়ির কাছে ভাইয়ের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শফিকুলের অভিযোগ, তিনি নির্দল প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলের লোকজন তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। ওই ঘটনায় তিনি আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শফিকুল। পাল্টা বড়গাছিয়া-১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ জাফর মোল্লা বলেন, ‘‘আমি ওই বাড়ি সরেজমিনে দেখেছি। ওই পরিবারের অনেকেই আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেন। তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy