—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সুতি এক ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বাছাই করা ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্রের মধ্যে সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল।ব্লকের একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেও সাফল্যের স্বীকৃতি সম্মাননা ২০২৪ পুরস্কার প্রদান করা হল। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি করে শংসাপত্র ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। বিড়ি শ্রমিক মহল্লায় এই ধরনের স্বীকৃতি অন্যান্য স্কুলগুলিকে উৎসাহ জোগাবে বলেই মনে করছেন প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকেরা।
এই পুরস্কৃত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে আহিরণের তিওরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বংশবাটীর অজগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরপুরের চক সইদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাদিকপুরের সাদিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহুতালির কাদোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হারুয়ার কুসুমগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ও। আহিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চক্র অফিসে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সুতি ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরিন্দম দত্ত বলেন, “স্কুলের বছরভর হাজিরা, পঠনপাঠন, পরিবেশ, ফলাফল, শৃঙ্খলা, মিডডে মিলের পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিবেচনা করেই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে গত বছর থেকে। চক্রে মোট ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। রয়েছে ১০টি হাই স্কুল। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাগৃতি’। এর ফলে অন্যান্য স্কুলগুলিও অনুপ্রাণিত হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমগ্র শিক্ষা মিশনের অতিরিক্ত জেলা প্রকল্প আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাস, সুতি ১ ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ মজুমদার।
সুতি ১ চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হয়েছে সারা বছর ধরে। বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।
অরিন্দমবাবু জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের ‘জয়ফুল লার্নিং’-এর জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহয়তায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কোনও কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা, স্মার্ট টিভি, ওয়াইফাই লাগানো হয়েছে গ্রামবাসী ও শিক্ষকদের প্রচেষ্টায়। এমন কিছু স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়। আয়োজন হয় ফল উৎসবের।
এ দিন চক্রের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে দুজনের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মরণোত্তর সম্মান। এই চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জেলা ও রাজ্যস্তরীয় স্তরে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে নেহা দাস, সৌভিক দাস ও ত্রিসানজিৎ রায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রীড়া সামগ্রী। চক্রস্তরীয় ছাত্রছাত্রীদের হাতে তৈরি মডেল তৈরির জন্য তিনটি বিদ্যালয়কেও পুরস্কৃত করা হয় গোঠা ও আলুয়ানি প্রাথমিক এবং সাদিকপুর হাইস্কুলকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ব্লকের প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রছাত্রীদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সুতি ১ চক্রের প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যালয় ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ঘোড়াপাখিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাসকে ‘সেরা শিক্ষক’য়ের সম্মান প্রদান করা হয়। সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে এই ধরণের অনুষ্ঠান জেলার অন্যান্য চক্রগুলিতেও আয়োজনের উপর জোর দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy