তেহট্টের সভায় প্রার্থী রাজিয়া আহমেদের সঙ্গে অধীর চৌধুরী। ছবি: কল্লোল প্রামাণিক।
শেষবেলাতেও মিলল না হাত।
সোমবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রাজিয়া আহমেদের সমর্থনে হেলিকপ্টারে এসে চাপড়া, নাকাশিপাড়া ও তেহট্টে জনসভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনটি সভাতেই আগের মতোই অনুপস্থিত থাকলেন নদিয়ার জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ। এর আগেও কি কালীগঞ্জ, কি চাপড়া, কি কৃষ্ণনগর কোনও কর্মিসভাতেই হাজার চেষ্টা করেও একই মঞ্চে দলের দুই নেতাকে হাজির করাতে পারেননি কর্মীরা। হতাশ ভাবে দলের এক জেলাস্তরের নেতা বলেন, ‘‘দুই নেতার টানাপোড়েনে এবারের নির্বাচনে কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। সকলে আমাদের প্রশ্ন করছেন। আমরা উত্তর দিতে পারছি না।’’ শঙ্করবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘শান্তিপুরে উপ-নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা আছে। সেখানে আমার আগে থেকে ঠিক করা কর্মসূচি আছে। ওই কেন্দ্রে প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি ওই মিটিংগুলিতে যেতে পারিনি।’’
এদিন চাপড়ায় সভা-মঞ্চে যখন অধীর চৌধুরী আসেন, তখন মাঠ ছিল প্রায় ফাঁকা। সেই অবস্থাতেই তিনি বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। বক্তব্যের মাঝে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল ঢুকতে থাকে। সভা শেষ করে অধীরবাবু চলে যাওয়ার পরেও মিছিল ঢুকতে থাকে।
তার আগে নাকাশিপাড়ার পাবলিক লাইব্রেবির মাঠেও এমনটাই হয়। সঠিক সময়ে অধীর পৌঁছে যান। সভা শুরু হওয়ার পরও লোকজন আসছিল ক্রমাগত। মিনিট পনেরোর ঝটিকা বক্তৃতায় অধীর রাজ্য সরকার ও বিজেপি’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে এক সুরে আক্রমণ করেন। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার অনায়াসে কলকাতায় নামছে। অথচ রাহুল গাঁধীকে সভা করতে আপত্তি করছে রাজ্য সরকার।”
তেহট্টের হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠেও ‘সময়ের’ সভার হিসাব মেলাতে পারেনি জনতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy