ভোটবার্তা: হলদিয়া ভবন থেকেই দিনভর পুরভোটের খোঁজ নিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
সকালে ভোট দিতে গিয়েছিলেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিনিই দলীয় প্রার্থী। তাপসীদেবীর যেখানে ভোট, কুমারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই বুথে বাম এজেন্ট ছিলেন তাঁর স্বামী অর্জুন মণ্ডল। কিন্তু ভোট শুরুর আগেই বুথ ছাড়তে বাধ্য হন অর্জুনবাবু। দিনভর আর বুথে ঢুকতে পারেননি তাপসীদেবীও।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে হলদিয়া কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন তাপসীদেবী। শুধু তিনিই নন, হলদিয়ার বহু সাধারণ মানুষও বুথে গিয়েও ফিরে এসেছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, আঙুলে কালি লাগানোর পরে শুনতে হয়েছে, ‘ফিরে যান। ভোট ঠিক জায়গায় পড়ে যাবে।’
তাপসীদেবী বলছিলেন, ‘‘আমার স্বামীকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয়। আমিও ভোট দিতে পারিনি। দেদার ছাপ্পা পড়েছে।’
সকাল ৮টায় কুমারচকে তাপসীদেবীর বুথের সামনে গিয়ে দেখা গেল, শ’খানেক যুবকের জটলা। ভেতরে ভোটার নেই একজনও। কিন্তু কানে আসছে ভোটযন্ত্রের ‘বিপ বিপ’ শব্দ। বুথে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ। পুলিশের সামনেই, কয়েকজন মিলে ইভিএমে বোতাম টিপছে।
আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ‘উধাও’ কমিশন
সাংবাদিক শুনে এগিয়ে এলেন তৃণমূলের এক নেতা। নিজেকে জেলা পরিষদ সদস্য স্বপন দাস বলে পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘‘ছেলেদের নিয়ে ভোট করাচ্ছি।’’ একই চিত্র সেন্ট জেভিয়ার্স প্রাইমারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রেও। লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে না পেরে এক যুবক বলছিলেন, ‘‘এত টাকা খরচ করে ভোট করার প্রয়োজনটা কী!’’
এ দিন পাঁশকুড়াতেও দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে বুথে বাম প্রার্থীর দিকে বন্দুক তাক করা থেকে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ। যদিও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘ভোট হয়েছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। হার নিশ্চিত জেনেই বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy