Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
State New

শান্তিপুরের জলেশ্বর শিবমন্দিরের ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগী বিধায়ক অরিন্দম

নদিয়ার শান্তিপুরে ‘জলেশ্বর শিব মন্দির’ বাংলার অন্যতম প্রাচীন শৈবতীর্থ। এখানে রয়েছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। মাটিয়ারির রুদ্ধেশ্বর ও রাঘবেশ্বর মন্দিরের সঙ্গেও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। তবে, উচ্চতায় জলেশ্বর মন্দির এই দুই মন্দিরের তুলনায় বড়।

জলেশ্বর মন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢালছেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র

জলেশ্বর মন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢালছেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ২১:২৭
Share: Save:

এক বছর খরায় প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ে শান্তিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গ্রামের চাষিরা এক শিবলিঙ্গের মাথায় প্রচুর জল ঢালেন বৃষ্টির প্রার্থনায়। তার পরেই বৃষ্টি নামে। শস্য-শ্যামলা হয়ে ওঠে ধরিত্রী। সেই থেকেই মন্দিরের নাম হয় ‘জলেশ্বর’। নদিয়ার শান্তিপুরের জলেশ্বর শিবমন্দির ঘিরে এমনই জনশ্রুতি রয়েছে। এ বার প্রায় চার শতাব্দী প্রাচীন সেই শিব মন্দিররের ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগী হলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।

শ্রাবণ মাস জুড়ে এই মন্দিরে প্রচুর মানুষ পুজো দেন। পাশাপাশি শিবের মাথায় জল ঢালতেও প্রতি দিন ভক্ত সমাগম হয়। আর শ্রাবণের শেষ সোমবারে ভক্তদের ভিড় কার্যত উপচে পড়ে। মঙ্গলবার সেই ভক্তদের সঙ্গেই দেখা গেল স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। পুজোও দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মীয় ইতিহাস শান্তিপুরের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আজ পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমি চাই শুধু ভারতবর্ষই নয়, গোটা বিশ্ব আমাদের এই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে জানুক।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং তার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের সুবাদে শান্তিপুরের প্রাচীন মন্দির এবং ধর্মস্থানগুলির সংরক্ষণের বিষয়েও তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।

নদিয়ার শান্তিপুরে ‘জলেশ্বর শিব মন্দির’ বাংলার অন্যতম প্রাচীন শৈবতীর্থ। এখানে রয়েছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। মাটিয়ারির রুদ্ধেশ্বর ও রাঘবেশ্বর মন্দিরের সঙ্গেও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। তবে, উচ্চতায় জলেশ্বর মন্দির এই দুই মন্দিরের তুলনায় বড়।

আরও পড়ুন: সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল

আরও পডু়ন: কথা শেষ করতে পারলেন না, কেঁদে ফেললেন সুমিত্রা মহাজন

জলেশ্বর মন্দিরে কোনও প্রতিষ্ঠালিপি নেই। তবে ‘নদিয়া গেজেটিয়ার’-এর তথ্য অনুযায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন নদিয়া রাজ রাঘব রায়। তাঁর রাজত্বকাল ছিল আনুমানিক ১৬৩২ থেকে ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দ। সেই সূত্রেই মনে করা হয় ওই সময়ের মধ্যেই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও ঐতিহ্য ধরে রাখার উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীও।

দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।

অন্য বিষয়গুলি:

Shantipur MLA Shiva Temple
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE