স্বমহিমায়: নিজের চেয়ারে রাজা দত্ত। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের খাতায় বছরখানেক ধরে ‘ফেরার’ তিনি। তবে গত কয়েক দিন ধরে ফের পুরসভায় নিজের চেয়ারে বসতে দেখা যাচ্ছে হালিশহরের উপ পুরপ্রধান রাজা দত্তকে। খুন, মারধর, প্রতারণা-সহ একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতার দলবল এক মহিলাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে। সে কথা মহিলা ব্যারাকপুর কমিশনারেটে লিখিত জানিয়েছেন। তবু রাজা অধরাই।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন-১) কে কান্নন জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ আছে রাজার নামে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তার দাবি, রাজা যে ফিরেছেন, সে খবর তাঁদের কাছে নেই। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। হালিশহরের খাসবাটি ঈশ্বরীনগরের চিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন রাজা। একই ভাবে প্রতারিত হন আরও দু’জন। কেউই চাকরি পাননি। টাকাও ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। বছরখানেক আগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় সেই অভিযোগই করেন চিত্রা।
২৬ ডিসেম্বর ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কাছে দায়ের করা অভিযোগে চিত্রা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে থেকে রাজার লোকজন তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। চিত্রার দাবি, তাঁর করা মামলায় হাইকোর্ট দু’বার রাজার জামিনও নাকচ করেছে। তারপরেও ধরা পড়েননি তিনি।
প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের ছত্রচ্ছায়ায় উত্থান রাজার। বিধানসভা ভোটের আগের রাতে বাম সমর্থক এক পরিবারের উপরে চড়াও হয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে রাজা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনার পরে আরও বহু ‘রাজ-কাহিনি’ সামনে আসে। হালিশহরে একের পর এক পুকুর ভরাট করে আবাসন তৈরি, বালি তোলার বেআইনি কারবারে নাম জড়ায় রাজার।
গত বছর জানুয়ারি মাসের পর থেকে পুরসভায় পা রাখেননি তিনি। এলাকাতেও দেখা যেত না। পুলিশ জানায়, তিনি ‘ফেরার’। সেই ‘ফেরার’ নেতাকেই গত কয়েক দিন ধরে ফের দেখা যাচ্ছে পুরসভায়, নিজের চেয়ারে। রাজা যে কাজে আসছেন, তা মানছেন পুরপ্রধান অংশুমান রায়। টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজা অবশ্য কোনও বিষয়েই মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy