Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

বালি, পাথর তুলতে নিয়মের বেড়ি মন্ত্রীর

নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলা আটকাতে পথে, এমনকী খাদানে নেমেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও খাদান থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধ করা যায়নি। নিয়মের ফাঁক গলে রাজ্য জুড়ে বহাল তবিয়তে চলছে ওই ব্যবসা। এ বার সেই ফাঁক বোজাতে তৎপর হয়েছে সেচ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৩
Share: Save:

নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলা আটকাতে পথে, এমনকী খাদানে নেমেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও খাদান থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধ করা যায়নি। নিয়মের ফাঁক গলে রাজ্য জুড়ে বহাল তবিয়তে চলছে ওই ব্যবসা। এ বার সেই ফাঁক বোজাতে তৎপর হয়েছে সেচ দফতর।

ওই দফতর সূত্রের খবর, খাদান থেকে বালি তুলে তা লরিতে ভর্তি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম চালু করা হচ্ছে। দফতরের দাবি, এতে পুলিশ এবং তাদের আধিকারিকদের নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে। নতুন নিয়মের কথা বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘বালি ব্যবসায় রাজস্ব-ফাঁকি আটকানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই জন্য অনিয়ম রু‌খতে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।’’

প্রশ্ন উঠেছে, যে-অবৈধ কারবারে পুলিশ, সাধারণ প্রশাসন ও শাসক গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্তরের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ, সেখানে নিছক কিছু নিয়মবিধি তৈরি করে কতটা সুফল পাওয়া যাবে?

সেচ দফতরের খবর, আগে বালি তোলার অনুমতি দিত ভূমি দফতর। কিন্তু যথেচ্ছ বালি তুলে নেওয়ায়
শুধু নদীর গতিপথ নয়, সেই সঙ্গে বাঁধেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে সেচ দফতর। শেষ পর্যন্ত বছরখানেক আগে বালি তোলার কাজের দেখভাল করতে তিন মাসের জন্য সেচ দফতরকে দায়িত্ব দেয় সরকার। তার ভিত্তিতেই রাজীববাবুর দফতর নতুন নিয়ম চালু করেছে।

নতুন নিয়মে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নদনদীর নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করা হয়ে‌ছে। বলা হয়েছে, চিহ্নিত জায়গার মধ্যে সর্বোচ্চ তিন একর জমি থেকে সর্বাধিক তিন মাসের জন্য বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হবে। রাজীববাবু বলেন, ‘‘বালি, বোল্ডার, নুড়িপাথর তোলার জন্য ছ’চাকার চেয়ে বড় লরি ব্যবহার করা যাবে না। কোন লরিতে কত বালি বা পাথর তোলা যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’ সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, নদীবাঁধে বালি বোঝাই লরি যাতায়াত করে। ওভারলোডিংয়ের জন্য বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে। আগামী দিনে শুধু সেচ দফতরই যাতে বালি তোলার অনুমতি দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

শুধু বালিই নয়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বোল্ডার ও নুড়িপাথর কতটা তোলা যাবে এবং লরিতে কী হারে তা বোঝাই করা যাবে, সেই বিষয়েও ফরমান জারি হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE