সিকি শতকের সংসদীয় রাজনীতির ইনিংসে দাঁড়ি টেনে বর্ষীয়ান সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত এ বার লোকসভার ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দলের কাছে আর প্রার্থী না করার আর্জিও জানিয়েছিলেন। আর্জি মেনে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে সিপিআই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গুরুদাসবাবুর নির্বাচনী কেন্দ্র ঘাটাল থেকে বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা। কাল, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন সন্তোষবাবু। দলীয় সূত্রে খবর, সহকর্মীকে উত্সাহ দিতে ওই দিন ঘাটালের বাম প্রার্থীর পাশে থাকবেন গুরুদাসবাবু।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার দু’দফায় ভোট হবে। ৭ মে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে। ১২ মে ঘাটালে। ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য গত ১২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। শুরু হয়েছে মনোনয়ন- পর্ব। অন্য দিকে, ঘাটাল কেন্দ্রের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৭ এপ্রিল। দলীয় সূত্রে খবর, জেলার তিন বাম প্রার্থী একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। এ জন্য বৃহস্পতিবারের দিনটা চূড়ান্তও হয়েছে। ওই দিন সকালে বাম কর্মী- সমর্থকেরা শহরে মিছিল করবেন। মিছিলে বাম নেতাদের পাশাপাশি তিন প্রার্থীরই থাকার কথা। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে কালেক্টরেট ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকবেন। সঙ্গে কয়েকজন নেতা থাকবেন। দলীয় সূত্রে খবর, এই দলে সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন আইটাকের সর্বভারতীয় নেতা গুরুদাসবাবুও থাকবেন।
আগে ঘাটাল কেন্দ্রটির নাম ছিল পাঁশকুড়া। এই আসন থেকে গত কয়েক দশক ধরেই জিতে আসছে বামেরা। জেলার এই কেন্দ্র থেকে এক সময় জয়ী হতেন প্রয়াত গীতা মুখোপাধ্যায়। গীতাদেবীর মৃত্যুর পর এই আসনে সিপিআইয়ের প্রার্থী হন গুরুদাসবাবু। ২০০০ সালের উপ-নির্বাচনে অবশ্য এখানে তৃণমূলের বিক্রম সরকার জেতেন। পরবর্তী লোকসভা ভোটে জয়ী হন গুরুদাসবাবু। ঘাটালে আগের মতো সুবিধাজনক জায়গায় নেই বামেরা। ফলে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে।
এক বাম নেতার কথায়, “বৃহস্পতিবার আমাদের তিন জন প্রার্থীই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। মনোনয়নের মিছিলে গুরুদাসদা থাকলে কর্মী-সমর্থকেরা তো আরও একটু চাঙ্গা হবেনই।” মনোনয়নের দিন বর্ষীয়ান এই সাংসদের আসার কথা রয়েছে বলে মানছেন সন্তোষবাবুও। তিনি বলেন, “ওই দিন আমরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাব। গুরুদাসদাও থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy