Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পুজোর মুখে দিঘায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ বন দফতরের

জবর দখল করা দোকানঘর উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দফতর। রবিবার সকাল থেকেই নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটের ধারে ক্ষণিকা মাকের্টে এই অভিযান চলে। জেলা বন আধিকারিক নিতাই সাহার নেতৃত্বে এ দিনের অভিযানে ছিলেন দিঘা, কাঁথি ও বাজকুল রেঞ্জের বন দফতরের অফিসার ও কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই এ দিন হাজির ছিল দিঘা থানার পুলিশও।

পুলিশের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে দোকান। ছবি: সোহম গুহ।

পুলিশের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে দোকান। ছবি: সোহম গুহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

জবর দখল করা দোকানঘর উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দফতর। রবিবার সকাল থেকেই নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটের ধারে ক্ষণিকা মাকের্টে এই অভিযান চলে। জেলা বন আধিকারিক নিতাই সাহার নেতৃত্বে এ দিনের অভিযানে ছিলেন দিঘা, কাঁথি ও বাজকুল রেঞ্জের বন দফতরের অফিসার ও কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই এ দিন হাজির ছিল দিঘা থানার পুলিশও। নিতাইবাবু বলেন, “সমুদ্র পাড় থেকে মাত্র দু’তিন হাত দুরত্বে বেশ কিছু দোকানঘর রাতারাতি বন দফতরের জায়গা দখল করে বসে ছিল। খবর পাওয়া মাত্রই দোকানগুলিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।”

তবে এ দিনের অভিযানের ফলে চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক আদক, সম্পাদক অশোক চন্দ-সহ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। বন দফতরের কর্তাদের অনুরোধ করেন, এই অভিযান দিন কয়েকের জন্য বন্ধ রাখতে। না হলে পুজোর মুখে দোকানঘর উচ্ছেদ করলে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। কিন্তু বন দফতরের তরফে সেই অনুরোধ মানা হয়নি। এমনকী পুজোর পর জবরদখল করে থাকা বাকি দোকানগুলিও ভাঙা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ দিন এই উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন কয়েকটি দোকানের মালিকও। তবে পুজোর সময় দোকান ভেঙে যাওয়ায় হতাশার সুর দোকান মালিকদের গলায়। নিমর্ল আচার্য নামে এমনই এক দোকানদারের কথায়, “এই দোকানের রোজগারের টাকাতেই সংসার চলে। পুজোর সময় পযর্টকদের ভিড়ে ভাল রোজগারের আশায় দোকান সাজিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।”

পুজোর কটা দিন সময় দিলে কি ক্ষতি হত? ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে এঁরা সমুদ্রপাড়ে ব্যবসা করছিলেন। বন দফতরের চোখে পড়তেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযানে নামা হল।”

শেষ হল কর্মশালা। জ্যোর্তিবিজ্ঞান নিয়ে তিন দিনের দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে এক আবাসিক কর্মশালা শেষ হল বুধবার। দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রকল্প আধিকারিক শুভশঙ্কর ঘোষ জানান, এই আবাসিক কর্মশালায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি হাইস্কুল, কুড়পাই হাইস্কুল ও বলাগেড়িয়া বীবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এই তিনটি স্কুলের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী জ্যোর্তিবিজ্ঞানের মডেল-সহ যোগ দিয়েছিল। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিড়লা শিল্প ও কারিগরী সংগ্রহশালার প্রাক্তন বিজ্ঞানী রতন চক্রবর্তী।

অন্য বিষয়গুলি:

digha illegal shop
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE