সিপিএম নেতার বাড়ির পিছনের বাগান এবং দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর, সদ্য খোলা পার্টি অফিস সংলগ্ন শৌচাগার থেকে ৫টি করে মোট ১০টি হাতবোমা উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পিংলার এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি সিপিএমের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আপাতত সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক-সহ তিন জনকে আটক করেছে।
আজ, শুক্রবার পিংলায় দীপক সরকারের কর্মিসভা রয়েছে। তার আগে দলকে বিড়াম্বনায় ফেলতে তৃণমূলের কর্মীরা নিজেই বোমা রেখে নাটক করছে বলে অভিযোগ পিংলার সিপিএমের জোনাল সম্পাদক নয়ন দত্তের। তিনি বলেন, “দীপকবাবুর কর্মিসভা বানচাল করতেই তৃণমূল এই ছক কষেছে। তাই বাড়ি নয় বাগান, আর পার্টি অফিস নয় খোলা শৌচাগার থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে।”
ওই জায়গাগুলিতে বোমা রাখার কথা তৃণমূল কর্মী বা গ্রামবাসী কী ভাবে জানল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, “বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।”
সিপিএমের গোবর্ধনপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক নিতাই জানার বাড়িতে বোমা মজুত রয়েছে। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাঁর ব্রহ্মাণীপুরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থিত একাংশ গ্রামবাসী। পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালালে কিছুই উদ্ধার হয়নি। পরে বাড়ির পিছনের বাগানে একটি ছোট্ট আবর্জনা বোঝাই ঘর থেকে বস্তায় রাখা ৫টি হাতবোমা উদ্ধার হয়। কিছু বোমার মশলাও পায় পুলিশ। ঘটনায় নিতাই নায়েক ও তাঁর ছেলে তরুণকে আটক করে পিংলার পুলিশ।
বাগান থেকে বোমা উদ্ধারের পরপরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহরদা শাখা অফিসে যান তৃণমূলের লোকজন। সেখানেও বোমা রয়েছে বলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উল্লেখ্য, এই শাখা অফিসটি কিছু দিন আগেই খুলেছিল সিপিএম। তৃণমূল সমর্থক বিষ্ণুপদ মাইতি বলেন, “বুধবার রাতে মিটিং সেরে ফেরার সময় দেখি, কিছু যুবক মোটর সাইকেলে সিপিএমের পার্টি অফিসের কাছে আসে। আধঘণ্টা পর চলে যায়। পাশের গ্রামের সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে বোমা পাওয়া গিয়েছে। তাই আমাদের ধারণা এখানেও ওই যুবকেরা কিছু বোমা মজুত করে গিয়েছে। তাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অনির্বান চক্রবর্তী, সম্পাদক তাপস জানারা। তাঁদের বক্তব্য, সিপিএম সন্ত্রাস ফিরিয়ে ভোটে জিততে এলাকায় বোমা, অস্ত্র মজুত করছে। গ্রামবাসী আগে থেকে তা টের পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পিংলা বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতির কটাক্ষ, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওঁদের আস্থা নেই। তাই এ ভাবে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy