Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জেলা পরিষদের খসড়া বাজেট পেশ

পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়নে বিপুল বরাদ্দ রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খসড়া বাজেট পেশ হল মঙ্গলবার। গতবার যেখানে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকার বাজেট ছিল, এ বার সেখানে প্রায় ৫৭৮ কোটি টাকার খসড়া বাজেট হয়েছে। এ দিন জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী প্রমুখ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৬
Share: Save:

পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়নে বিপুল বরাদ্দ রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খসড়া বাজেট পেশ হল মঙ্গলবার। গতবার যেখানে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকার বাজেট ছিল, এ বার সেখানে প্রায় ৫৭৮ কোটি টাকার খসড়া বাজেট হয়েছে। এ দিন জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যরাও।

কেন গতবারের থেকে প্রায় দ্বিগুন অঙ্কের খসড়া বাজেট? অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “গতবার বাজেটের টাকার বাইরেও বিভিন্ন কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো কাজও হয়েছে। এ বার তাই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।” এই খসড়া বাজেট অর্থ স্থায়ী সমিতিতে পাশ হবে। অবশ্য এ নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে লিখিত ভাবে জানানো যেতে পারে। পরবর্তী সময় জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় খসড়া বাজেটই চূড়ান্ত হবে।

জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছরে ১৭৪ কোটি ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল। ২০১৪-’১৫ এর জন্য ২৫৭ কোটি ৫৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল। আগামী আর্থিক বছর অর্থাৎ, ২০১৫- ’১৬-এর জন্য ৫৭৮ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খসড়া বাজেট পেশ করা হয়েছে। এক দিকে নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ানো, অন্য দিকে পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ করা— এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই খসড়া বাজেট হয়েছে বলে জেলা পরিষদ কর্তাদের দাবি। সব থেকে বেশি বরাদ্দ পূর্তে। কারণ, জেলার বেশ কিছু রাস্তা নতুন করে তৈরি এবং সংস্কার করা জরুরি। কয়েকটি সেতুও সংস্কার করা জরুরি। পিছিয়ে পড়া গ্রামের উন্নয়নেও জোর দেওয়া হয়েছে। অধিকার প্রকল্পে ঘর তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

জেলা পরিষদের তৃণমূল পরিষদীয় দলনেতা অজিত মাইতি বলেন, “খসড়া বাজেটে পূর্ত-শিক্ষা-স্বাস্থ্য- গ্রামোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বাজেট একেবারে জনমুখী। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়িয়ে কী ভাবে কী কী কাজ হবে, খসড়া বাজেটে তারই উল্লেখ রয়েছে। আমরা অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিই না। সিপিএমের মতো ঘোর অবাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাজও করি না!”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE