একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড গুলি-সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাে ত খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ শীতলা মন্দির থেকে তাদের গ্রেফতার করে সাদাতপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃত বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও অমিত পাণ্ডেকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “ধৃতদের বয়স খুবই কম। ওদের হাতে কীভাবে এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছাল তা জানতে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হবে।”
প্রায় বছর কুড়ি ধরে বাবা-মার সঙ্গে অমিত ভাড়া থাকতেন মালঞ্চ বালাজি মন্দির পল্লি এলাকায় বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়দের বাড়িতে। বছর চব্বিশের অমিত বর্তমানে এখন একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। আর বছর ঊনিশের বিশ্বজিৎ মুক্ত বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বিশ্বজিতের বাবা এলাকায় জমির দালাল হিসেবে পরিচিত। আর তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেন অমিতের বাবা। ইদানীং অমিত আর বিশ্বজিৎ নানা আসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছিলেন। এমনকী ঘনিষ্ঠদের কাছে পিস্তল দেখিয়ে মজা করার মতো ঘটনাও ঘটেছিল। সেই তথ্যই গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপে’র (এসওজি) জেলা শাখার কাছে। খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ শীতলা মন্দির এলাকাটি রেলশহর সংলগ্ন হলেও গ্রামীণ থানার অন্তর্গত। তাই সেই খবর সাদাতপুর তদন্তকেন্দ্র থানায় পৌঁছালে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সোমবার রাতে শীতলা মন্দিরের পিছনে আড্ডা দেওয়ার ফাঁকেই অমিত আর বিশ্বজিৎকে পাকড়াও করে পুলিশ। অমিতের কাছ থেকে মেলে দেশীয় একটি নাইন এমএম পিস্তল আর বিশ্বজিতের কাছে ছিল দু’রাউণ্ড গুলি। এরপরই তাদের অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, মোটা টাকা রোজগারের আশাতেই এই দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিল। মূলত কোনও অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে হাতবদল হয়ে অমিতের কাছে পৌঁছে যেত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। আর অমিতের দেখানো পথেই তার সহযোগী হয়ে উঠেছিল বিশ্বজিৎও। পড়াশুনোর সঙ্গে যুক্ত থাকায় আপাত দৃষ্টিতে তাদের দেখে সন্দেহ হত না কারোর। তাই প্রয়োজনে বেশ কিছুদিন অস্ত্র তাদের কাছে সংরক্ষিত রেখে দিত দুষ্কতীরা। তবে কীভাবে এই অস্ত্র ধৃতদের কাছে পৌঁছত বা কারা কিনত সেই বিষয়ে কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy