কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) অসামাজিক কাজকর্ম চালাচ্ছে, এই অভিযোগে খড়্গপুর কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ (সিপি)। মঙ্গলবার কলেজে অধ্যক্ষের অফিস ঘরের সামনে অবস্থানে বসে তাঁরা। সিপি’র দাবি, ইদানীং টিএমসিপি কলেজ জুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি কলেজের প্রেক্ষাগৃহে টিএমসিপি’র এক সদস্যকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বলেও তাঁদের অভিযোগ। সিপি’র অভিযোগ, ওই টিএমসিপি সদস্যই শিক্ষক দিবসের দিনে কলেজের এক অধ্যক্ষকে হেনস্থা করে। তাই কলেজের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এ দিন সরব হয় তাঁরা। কলেজে এ দিন দীর্ঘক্ষণ সিপি’র অবস্থান চলে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের ছাত্র সংসদ টিএমসিপির দখলে থাকলেও সম্প্রতি টিএমসিপি’র দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। গত ২৩ অগস্ট শহর টিএমসিপি সভাপতি রাজা সরকারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক টিএমসিপি ছাত্রের বিরুদ্ধেই কলেজের প্রেক্ষাগৃহে বসে নেশা করার অভিযোগ উঠেছিল। আবার শিক্ষক দিবসের দিনে তৃতীয় বর্ষের সাধারণ বিভাগের ওই ছাত্র সংস্কৃত বিভাগে ঢুকতে চায়। ওই ছাত্রকে বাধা দেওয়ায় সংস্কৃত বিভাগের এক অধ্যাপককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। যদিও ওই ঘটনায় পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। সিপি’র শহর সভাপতি অরিত্র দের অভিযোগ, “টিএমসিপি কলেজ জুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। কলেজে বসে তাঁদের এক সদস্য হায়দার আলি খান মদ্যপান করার অভিযোগ ওঠার পরেও অধ্যক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই ছাত্রই ফের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপককে হেনস্থা করেছে। তাই ওই ছাত্রের শাস্তি ও কলেজের সুস্থ পরিবেশের স্বার্থে আমরা সরব হয়েছি।” কলেজে টিচার ইন চার্জ অচিন্ত্যকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত ২৩ অগস্ট আমি কলেজে ছিলাম না। পরে প্রেক্ষাগৃহে মদ্যপানের অভিযোগ পেয়ে সে দিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপককে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু তিনিও প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে কাউকে দেখতে পাননি বলেই জানিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষক দিবসের দিনের ঘটনার অভিযোগ আমি পাইনি। তবে বিষয়গুলি আমি তদন্ত করে দেখব।” অভিযোগ অস্বীকার করে হায়দার আলি খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মিথ্যা।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমি যেহেতু অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না, তাই আমাদের সংগঠনেরই কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে। আর সেই সুবিধা নিচ্ছে অন্য ছাত্র সংগঠন।” অবশ্য এই বিষয়ে হায়দার আলি খানের বিরোধী গোষ্ঠীর শহর টিএমসিপি সভাপতি রাজা সরকার বলেন, “আমি দু’টি অভিযোগই শুনেছি। তবে কারও নাম জানি না। আমাদের সংগঠনের প্রকৃত কর্মীরা এসবে যুক্ত বলে বিশ্বাস করি না। তাই অভিযোগের তদন্ত হোক। আমিও এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি এক্ষেত্রে সংগঠনের কেউ যুক্ত থাকে, তবে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy