আদালত অবমাননার অভিযুক্ত এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার এক দিনের কর্মবিরতি পালন করলেন ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতের আইনজীবী ও মুহুরিরা। আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন ও একটি ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র সভাপতি সতীন্দ্রনাথ পতি চৌধুরী জানান, ‘আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত’ ঝাড়গ্রাম ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলআরও) জীবনকৃষ্ণ সরকার অবশ্য শনিবারই আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট বিচারকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন ওই আধিকারিক। সোমবার ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র একটি বৈঠকে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” আদালত সূত্রের খবর, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম লোক আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের শুনানির জন্য ঝাড়গ্রামের বিএলআরও জীবনকৃষ্ণবাবুকে তলব করেছিলেন বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী। পার্থসারথিবাবু ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। তিনি মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যানও। কিন্তু জীবনকৃষ্ণবাবু শুনানি চলাকালীন আদালত সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং বিচারককে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন বলে আইনজীবীদের অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবী ও মুহুরিরা। আদালতের মাধ্যমে জীবনকৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ না করায় শুক্রবার আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবী-মুহুরিদের একাংশ। এরপর শনিবার এক দিনের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবী-মুহুরিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy