সন্ধ্যা নামলে এই রাস্তাই ডুবে যায় অন্ধকারে। —নিজস্ব চিত্র।
নেই পথবাতি। সেই সুযোগে রাতের অন্ধকারে চলছে অসামাজিক কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, টুকটাক ছিনতাইয়ের ঘটনাও বিরল নয়।
হলদিয়া পুর-এলাকার হাতিবেড়িয়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি আজাদ হিন্দ নগর সংলগ্ন নবনির্মিত এমু কোচ ফ্যাক্টরির সংলগ্ন প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় নেই কোনও পথবাতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় অসামাজিক কাজ বাড়ছে। দেখা মেলে না পুলিশেরও। রাতের অন্ধকারে তাঁদের স্থানীয় ক্ষুদিরাম নগর, হাতিবেড়িয়া, সুকান্ত নগর, সিটি সেন্টার যাতায়াত করা কার্যত ত্রাসের হয়ে দাড়িয়েছে! তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই রাস্তায় আলো দেওয়া হোক।
স্থানীয়দের বক্তব্য, টাউনশিপ বা দুর্গাচক এলাকায় নানা কাজে রাত-বিরেতেও যেতে হয়। ফেরার সময় খালপাড়ের এই বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করলে সময় বাঁচে। নতুবা অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হয়। প্রসঙ্গত, খালপাড়ের এই রাস্তাটি বছর দু’য়েক হল তৈরি হয়েছে। এত দিন কোচ ফ্যাক্টরি তৈরির কাজ চলায় কাখানায় আলো জ্বলত। তাতে রাস্তা আলোকিত থাকত। কিন্তু, এই কারখানার এখনও উদ্বোধন হয়নি। আলোও মাস দু’য়েক হল বন্ধ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সুযোগে চুরি ছিনতাই বাড়ছে। প্রতিকার চেয়ে আজাদ হিন্দ নগর উন্নয়ন সমিতি সম্প্রতি হলদিয়া পুরসভায় পুরপিতা দেবপ্রসাদ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন। সমিতির সভাপতি দিলীপ দেব, সম্পাদক স্বদেশরঞ্জন পাল, প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন সভাপতি অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়-সহ স্থানীয়েরা সম্প্রতি দেবপ্রসাদবাবুর কাছে স্থানীয় নানা বিষয় নিয়ে দরবার করেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ফ্যাক্টরির প্রাচীর ঘেঁষা প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় আলো বসানোর অনুরোধ। অনিমেষবাবুর কথায়, “এই এলাকা দিয়ে অনেকে যাতায়াত করেন। আলো না থাকায় অসামাজিক কাজ বাড়ছে। তা জানিয়েছি পুরপ্রধানকে।”
একই কথা এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের হলদিয়া মহিলা শাখার সম্পাদিকা গার্গী মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, এলাকায় চুরি ছিনতাই বাড়ছে। কিছু দিন আগে স্থানীয় আবাসনের এক মহিলার হার ছিনতাই হয়। সম্প্রতি এক মোটর বাইক আরোহীরও টাকা পয়সা কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, আগে পুলিশের দেখা মিললেও এখন কোনও টহলদারি নেই। হলদিয়া থানার আইসি স্বরূপ বসাক বলছেন, সব সময় তাঁদের কাছে অভিযোগ আসে না। কিন্তু, পুলিশি টহল নেই কেন? তাঁর দাবি, “গোটা হলদিয়াতেই পুলিশি টহল আছে।”
এলাকাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত। কাউন্সিলার শুভশ্রী সামন্ত মানছেন, “পথবাতি না থাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগ স্থানীয়দের থেকে পেয়েছি। পুরসভা সমীক্ষা করেছে।” দ্রুত আলো বসাতে তিনি উদ্যোগী হবেন বলেও আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও ওই ওয়ার্ডের পদ্মপুকুরেও পথবাতি দেওয়া হবে বলে কাউন্সিলর জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy