সাফল্য: রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে করণ। —নিজস্ব চিত্র
প্রথম সিরিজেই সাফল্য পেলেন খড়গপুরের ছেলে করণ লাল। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম সিরিজেই সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকের পুরস্কার পেলেন। কেরলে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে যোগ দিয়েছিল আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত-এ এবং ভারত-বি দল। করণ ভারত-বি দলে অলরাউন্ডার হিসেবে সুযোগ পান। তিনটি ম্যাচে সাত উইকেট নেন তিনি।
৫ মার্চ ভারত-বি দল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাননি করণ। ৭ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেন। ব্যাটে ভাল রান আসেনি। তবে বল হাতে সফল। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দু’টি উইকেট পান। মেডেন তিনটি। ৯ মার্চ ভারত-এ দলের বিরুদ্ধে ব্যাটে ১২ রান করেন। পান দু’টি উইকেট। পরিসংখ্যান ১০ ওভার, ১৮ রান, দু’টি মেডেন। ১১ মার্চ ফাইনাল হয় ভারত-এ এবং বি দলের মধ্যে। মাত্র আট রান করেছিলেন। কিন্তু বোলার করণ ১০ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। একটি মেডেন।
করণ জানান, প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে সফল হয়ে খুব খুশি। তাঁর কথায়, ‘‘কোচ রাহুল দ্রাবিড় স্যার আমার প্রশংসা করেছেন। বলের সঙ্গে ব্যাটটা ভাল করার পরামর্শ দিয়েছেন।’’ করণ জানান, কয়েক মাস পরেই ইংল্যান্ড সফর। ভাল খেলে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করতে চান। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছে রয়েছে। খড়গপুর ডিআরএম রবীন কুমার রেড্ডি করণকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেরসার মাঠে করণের অনুশীলনের জন্য বোলিং মেশিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন ডিআরএম।
করণের সাফল্যে খুশি কোচ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বল হাতে করণ সফল। এবার ব্যাটেও সফল হতে হবে। আশা করছি, বোলিং মেশিনে টানা অনুশীলনে ব্যাটেও ভাল ফল করতে পারবে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন করণ। মা ও দুই দিদির কাছে বড় হয়ে ওঠা। ২০১১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় খড়্গপুর ব্লুজ ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। প্রশিক্ষক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy