সপ্তাহ খানেক আগে মেদিনীপুর থেকে শীত একপ্রকার বিদায় নিয়েছিল। চড়া রোদে রীতিমতো গরম লাগছিল। কয়েক পশলা বৃষ্টির পরে ফের শহরে শীত শীত ভাব ফিরে এসেছে। আলমারিতে তুলে রাখা সোয়েটার-মাফলার-চাদর ফের বের করতে হচ্ছে।
রবিবার মেদিনীপুরে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোলজি পার্ক সূত্রে খবর, ওই দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩.৮ মিলিমিটার। আর এই সামান্য বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় অনেকখানি নেমে গিয়েছে। রবিবার মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ শনিবারই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পরপরই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৪ ডিগ্রি। শহরে বাতাসও বয়েছে ঘণ্টায় ৬.৬ কিলোমিটার বেগে।
সপ্তাহ খানেক আগে শীত একপ্রকার বিদায় নেওয়ার পরে শহরের পারদ পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল। কখনও তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল, পরে তা আরও বেড়ে হয়েছিল ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যায়। মেদিনীপুরে এ বার অবশ্য দোলের অনেক আগে থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছিল। রোদের তেজ বাড়ছিল। দুপুরের দিকে বেশ গরমও লাগছিল। তবে রবিবারের বৃষ্টির পরে সেই কষ্ট উধাও। উল্টে আবহাওয়া রীতিমতো আরামদায়ক হয়ে গিয়েছে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোলজি পার্ক সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে বৃষ্টি হয় ০.৪ মিলিমিটার। দুপুরের পরে আরও ৩.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রার হেরফেরে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে শীত শীত ভাব শুরু হয়। সোমবার সকালে অবশ্য রোদ উঠেছে।
এই সময়ে বৃষ্টি কেন? বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে ব্যাখ্যা, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। সেই উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলগুলোয় বায়ুপ্রবাহ প্রচুর জলীয় বাষ্প বয়ে নিয়ে আসছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy