Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

মদ বিক্রিতে কি লাগাম পড়বে, প্রশ্ন

অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার সেটাই প্রমাণ হল। চোলাই-সহ বেআইনি মদের রমরমা কারবার যে আবগারি দফতরের মদতেই চলছে, সে অভিযোগ উঠেছে বারবার।

অভিজিৎ চক্রবর্তী
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার সেটাই প্রমাণ হল।

চোলাই-সহ বেআইনি মদের রমরমা কারবার যে আবগারি দফতরের মদতেই চলছে, সে অভিযোগ উঠেছে বারবার। এ বার এক মদ ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ঘুষ নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়লেন অশোককুূমার দে নামে আবগারি দফতরের এক কর্তা।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমা-সহ চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছিল বেআইনি মদের কারবার। ঘাটাল-পাঁশকুড়া এবং ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’ধারে ধাবাগুলিতে আবার প্রকাশ্যেই মদ ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছিল। গত দেড় বছরে ঘাটালে নতুন দশ-বারটি অন শপ (সরকারি অনুমোদিত) দোকান চালু হয়েছে।

লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে হামেশাই। ঘাটাল সহ সংলগ্ন এলাকার সরকারি অনুমোদিত মদ দোকানগুলিতে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল বিকিকিনি।

অভিযোগ, ঘাটাল মহকুমা জুড়ে চোলাই মদের কারবার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, চোলাই বা বেআইনি মাদক ব্যবসা বন্ধ না হওয়ার পিছনে আবগারি দফতরের অনেক আধিকারিকের যোগসাজশ রয়েছে। এক চোলাই কারবারিই বলছিলেন, ‘‘অফিসারদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়েই তো ব্যবসা করছি।” দাসপুরের সরকারি এক মদ দোকানের মালিকের কথায়, ‘‘অশোক স্যার দায়িত্বে আসার পরই আমাদের মাসোহারা চালু হয়েছিল।’’

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আবগারি দফতরের সুপার সুব্রত দাশগুপ্ত বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ঘাটাল রেঞ্জে নতুন আধিকারিক নিয়োগও করা হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Liquor selling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE