উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র।
চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল বন্দুক ও কার্তুজ ভর্তি একটি বস্তা। শুক্রবার সকালে চন্দ্রকোনা থানা এলাকার ঘটনা। ভোটের আগে বন্দুক উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনীতির তরজা। জানা গিয়েছে, যাঁর জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই বস্তা, তিনি সিপিএম কর্মী। ফলে এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কালিকাপুর সংলগ্ন জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মাঝি দু’দিন আগেই জমি থেকে আলু তুলেছিলেন। ফের ওই জমিতেই তিল চাষ করবেন বলে ট্রাক্টরে জমিতে চাষ করছিলেন। সে সময়ই জমির এক কোণ থেকে একটি বস্তা বেরিয়ে পড়ে। সক্রিয় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত মৃত্যুঞ্জয়বাবুর জমি থেকে বন্দুক-কার্তুজ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে হাজির হন তৃণমূল নেতা গৌতম ভট্টাচার্য, সুজয় পাত্র। সঙ্গে শতাধিক তৃণমূল কর্মী। চন্দ্রকোনা থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। শাসক দলের নেতারা দাবি করেন জমির মালিক-সহ এলাকার সিপিএমের সব নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় মৃত্যুঞ্জয়বাবুকে। জেলা পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ কুমার বলেন, ‘‘ বস্তায় তিনটি দেশি পিস্তল, তিনটি এক নলা বন্দুক ও তেরোটি কার্তুজ ছিল। সবই বহু পুরনো। জমির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
তৃণমূল নেতা গৌতম ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “সিপিএম এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য বন্দুক, কার্তুজ ভর্তি বস্তাটি মাটি খুঁড়ে জমিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন।’’ তাঁর দাবি, এক সময় কালিকাপুর থেকেই বহু বন্দুক উদ্ধার হয়েছিল। ভোটের আগে ফের সন্ত্রাস তৈরির করতেই অস্ত্র আনা হয়েছিল। সিপিএমের চন্দ্রকোনা ১ জোনাল কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ রায় বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে দলের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তৃণমূল যাই দাবি করুক, তাতে আমাদের কিছু সমস্যা নেই। পুলিশ তদন্ত করুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy