Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

বর্জ্যের কোপ

নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তা উড়িয়েই চিকিৎসায় ব্যবহারের পরে নার্সিংহোমের নানা বর্জ্য পদার্থ জমছে ভ্যাটে। স্যালাইনের বোতল থেকে ইঞ্জেকশনের অ্যাম্পুল— ভ্যাট উপচে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তাতেও। হুঁশ নেই কারও। এই বর্জ্য থেকে দূষণের মাত্রা ঠিক কতটা, খোঁজ নিয়ে দেখল আনন্দবাজার। মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেটের পাশে আবর্জনার স্তূপে জমছে নার্সিংহোমের বর্জ্য। শহরের কেরানিতলাতেও দেখা গেল একই ছবি।

কেরানিতলায় ছড়িয়ে রয়েছে বর্জ্য। দুর্গন্ধে চলা দায়।

কেরানিতলায় ছড়িয়ে রয়েছে বর্জ্য। দুর্গন্ধে চলা দায়।

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৬
Share: Save:

•সমস্যা কোথায়

মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেটের পাশে আবর্জনার স্তূপে জমছে নার্সিংহোমের বর্জ্য। শহরের কেরানিতলাতেও দেখা গেল একই ছবি।

• বর্জ্যের ধরন

চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত স্যালাইনের বোতল, গজ, তুলো, ডিস্পোজাল সিরিঞ্জ, ইঞ্জেকশনের অ্যাম্পুল, সূচ।

•বিপদ যেখানে

বর্জ্য পরিষ্কারের সময় ইঞ্জেকশনের সূচে হাত কেটে যেতে পারে সাফাই কর্মীর। সিরিঞ্জে জমে থাকা রোগীর রক্ত থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তুলো, গজ, ব্যান্ডেজ থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকে। স্যালাইনের বোতল প্লাস্টিকের তৈরি। তা থেকে দূষণ ছড়ায়। যক্ষ্মা-সহ কয়েকটি রোগের ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকে। এই সব রোগে আক্রান্তের ব্যবহৃত পদার্থ থেকে সংক্রমণ ছড়ায়।

রোগীর ব্যবহার করা সূচ, গজ, তুলো খোলা জায়গায় ফেলা ঠিক নয়। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। যে সমস্ত নার্সিংহোম এই বর্জ্য ফেলে তাদের দূষণের ছাড়পত্র আছে কি না খতিয়ে দেখা উচিত।

সব্যসাচী রায় | চিকিৎসক

ইঞ্জেকশনের সূচে হাত কেটে যেতে পারে। এই ধরনের বর্জ্যে বিভিন্ন জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া থাকে। নার্সিংহোমগুলির এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত | চিকিৎসক

এ রকম কিছু হয়েছে বলে কেউ আমাকে জানায়নি। বিষয়টি দেখতে হবে।

বিশ্বরঞ্জন শতপথী | স্বাস্থ্য অধিকর্তা

কয়েকটি নার্সিংহোম যেখানে সেখানে বর্জ্য পদার্থ ফেলছে। সকলে এক হয়ে এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে। পুরসভারও নজরদারি বাড়ানো উচিত।

মনোজিৎ রায়, রবীন্দ্রনগর

ভ্যাটে আবর্জনার সঙ্গে নার্সিংহোমের বর্জ্য পদার্থও ফেলা হয়। দুর্গন্ধে চলা দায়। ভ্যাট নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সচিন শিকারিয়া, কেরানিতলা

মেদিনীপুরের কালেক্টরেটে বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ।

আমার মনে হয় না কোনও নার্সিংহোম এমন কাজ করবে। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই হলদিয়া থেকে একটি সংস্থার গাড়ি এসে বর্জ্য পদার্থ নিয়ে যায়।

বিনয়কুমার সিংহ জেলা সম্পাদক , পশ্চিম মেদিনীপুর নার্সিংহোম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন

পুরসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর আমরা নার্সিংহোমগুলিকে ছাড়পত্র দিই। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

গিরীশচন্দ্র বেরা, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক

নার্সিংহোমগুলির বর্জ্য পদার্থ রাস্তার উপর খোলা ভ্যাটে ফেলা উচিত নয়। এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে।

প্রণব বসু, পুরপ্রধান

তথ্য: পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমেশ্বর মণ্ডল । নিজস্ব চিত্র।

অন্য বিষয়গুলি:

pollution wastage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE