বিদায়: দুধপাথরিতে পানমণির নিথর দেহ। নিজস্ব চিত্র
তখনও ময়না তদন্ত শুরু হয়নি। বেলা গড়াতেই জঙ্গলের ধারে ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রামের মানুষেরা। অনেকের দু’চোখে জল। যেন মেয়ে হারানোর শোক। এই শোকের আবহেই দাহ করা হল পানমণিকে। গত কয়েকদিন ধরে যাকে অপত্য স্নেহে আগলে রাখা হয়েছিল, সে আর নেই, ভাবতেই পারছে না দুধপাথরি। মন খারাপ? স্থানীয় সুষমা মাহাতো বলছিলেন, “সত্যিই মনটা খারাপ। অনেকে কেঁদেছে। আমারও কান্না পাচ্ছে।” বলতে বলতে চোখের কোণে জল চিকচিক করে ওঠে সুষমার।
এ দিন সকালেই এলাকায় পৌঁছন পশু চিকিৎসকেরা। আসেন বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত, স্থানীয় রেঞ্জ অফিসার বিশ্বনাথ ভঞ্জ প্রমুখ। ময়না তদন্তের কাজ শুরু হয়। বন দফতরের এক কর্তার কথায়, “মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট হবে।” এ দিনও ফুল নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। দাহ করার আগে গায়ে ফুল ছড়িয়ে পানমণিকে শেষবিদায় জানান। বুধবার দুপুরে জঙ্গলের পাশেই পানমণিকে দাহ করা হয়। বিশ্বনাথবাবু মানছেন, “গ্রামের মানুষ ওকে ভালবেসে ফেলেছিল।” তাঁর সংযোজন, “স্থানীয় মানুষজন গত বেশ কয়েকদিন পাশে থেকে হাতিটির দেখভালও করেছেন। তাই ওঁদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক।”
গত ২ মে এই হস্তিনীটিকে জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখেন গোয়ালতোড়ের দুধপাথরির বাসিন্দারা। হাতিটির চিকিৎসা শুরু হয়। বনকর্মীদের হাতিটির দেখভাল শুরু করেন গ্রামবাসীরাও। যদিও দু’সপ্তাহের লড়াই শেষে মঙ্গলবার সে জীবনযুদ্ধে হার মানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy