বিপজ্জনক: সিঁড়ি দিয়ে বাসে উঠছে যাত্রী। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
ছাদে যাত্রী তোলা আটকাতে মেদিনীপুরে খুলে দেওয়া হয়েছে বাসের সিঁড়ি। কোনও বাস ছাদে যাত্রী তুললে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হচ্ছে। ঘাটালে অবশ্য সে সবের বালাই নেই। দিব্যি ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে তোলা হচ্ছে যাত্রী।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রুটে বাস নামানোর অনুমতি দেওয়ার সময়ই সব নিয়মকানুন লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। মালিক পক্ষ ও বাস কর্মীদের একাংশের মদতেই ছাদে যাত্রী তোলা হয় বলে অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার চললেও রাশ টানা যাচ্ছে না দুর্ঘটনায়। তাই বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহণ ঠেকাতে পরিবহণ দফতরও রাস্তায় নেমেছে। মেদিনীপুরে ধারাবাহিক অভিযান করে ছাদের সিঁড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হচ্ছে। শুধু বাস নয়, ট্রেকারের ছাদে যাত্রী তোলা আটকাতে একই ভাবে অভিযান চলছে জেলা সদরে।
এক জেলার দু’জায়গায় আলাদা নিয়ম হবে কেন? ঘাটালেও অতিরিক্ত পরিবহণ দফতরের অফিস রয়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘাটালে মেদিনীপুরের মতো অভিযান হয়নি। যার ফলেই ওই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। বাস-ট্রেকারের ছাদে দিব্যি যাত্রী পরিবহণ চলছে। সরকারি নিয়ম মানছেন না বাস মালিকরাও। সবমিলিয়ে ছাদে যাত্রী পরিবহণের অভ্যাসে দাঁড়ি পড়ছে না। ঘাটাল বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে প্রভাত পান বলেন, ‘‘প্রবণতা কমছে। এটা ঠিক, এখনও কিছু রুটের বাসে সিঁড়ি খোলা হয়নি। সব বাস মালিকদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসের ছাদে যাত্রী তোলা বন্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটালের পরিবহণ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বললেন, “এখানে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। কর্মীর অজুহাত দিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবাও হয়নি। মালিক পক্ষের অনীহাও রয়েছে। সবমিলিয়ে পুরনো অভ্যাস থেকে ঘাটালকে মুক্ত করা যাচ্ছে না।”
যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “ঘাটালেও অভিযান হয়। তবে নাগাড়ে অভিযান এখনও শুরু হয়নি। জরিমানা আদায়ও করা হয়নি। ঘাটাল পরিবহণ দফতরকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করা হবে।” ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকিরঞ্জন প্রধান বলেন, “অভিযান করা হয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু বাসের সিঁড়ি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এ বার ধারাবাহিক ভাবেই অভিযানে নামা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy