—প্রতীকী ছবি।
গভীর রাতে পালানোর সময়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল গণধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক। শুক্রবার গভীর রাতে ডেবরার গোলগ্রাম থেকে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে ডেবরা থানার পুলিশ। ধৃত বছর সাতাশের গুরুচরণ হেমব্রম ও কাঞ্চন মুর্মুর বাড়ি ডেবরাতেই। তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রোটেকশন অফ চাইল্ড ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস’ বা পকসো আইনে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।
শনিবার ধৃতদের মেদিনীপুরে জেলা পকসো আদালতে হাজির করানো হয়। যদিও এ দিন বিচারক না থাকায় তাদের ফের সোমবার আদালতে তোলা হবে। তার আগে পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখা হবে। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী। এখনও থমথমে গ্রামের পরিস্থিতি।
গত বুধবার রাতে টিউশন থেকে দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী। প্রথমে বন্ধুরা থাকলেও বাড়ির কাছাকাছি আঁধার পথে সাইকেলে একাই ছিল সে। সেই সময়েই পড়শি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে ছুরি দেখিয়ে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গ্রামের এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাইক নিয়ে তাকে খুঁজতে বেরোন ওই কিশোরীর বাবা। সেই সময়েই পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জানায় ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই যুবকের নামে ডেবরা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাতেই ডাক্তারি পরীক্ষার পর ওই কিশোরীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক।
গোলগ্রাম থেকে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবকেরা কোনওভাবে বালিচক গিয়ে ট্রেন ধরার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশের দাবি। অবশ্য ওই দুই যুবক ধরা পড়লেও তাদের মোবাইল পাওয়া যায়নি।
ওই নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা বলেন, “অভিযুক্তদের দু’জন গ্রেফতার হওয়ায় খুশি। তবে আমরা চাই ওই দু’জনের কঠোর শাস্তি। মেয়ের যে সর্বনাশ ওরা করেছে তার ক্ষমা নেই। মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে বলছে। তাই আপাতত মেয়েকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া এখন মূল লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy