কেশপুর কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে সরকার মনোনীত দুই সদস্যকে আমন্ত্রণ না করায় তৈরি হল বিতর্ক। সম্প্রতি সমিতির সদস্য হিসেবে স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা ও পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ মিদ্যার নাম চূড়ান্ত করে রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার সমিতির বৈঠক রয়েছে। অথচ, ওই দুই সদস্যকে বৈঠকে না ডাকায় প্রকাশ্যে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিধায়কের ‘মতবিরোধ’।
নিজেদের অসন্তোষ গোপন করছেন না পরিচালন সমিতির দুই সদস্যও। বিধায়ক শিউলিদেবীর কথায়, “অধ্যক্ষ কেন বৈঠকে ডাকেননি বুঝতে পারছি না।” একইভাবে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথবাবুরও বক্তব্য, “বৈঠক রয়েছে বলে শুনেছি। কেন বৈঠকে ডাকা হয়নি জানি না।” কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপককুমার ভুঁইয়ার অবশ্য দাবি, “পরিচালন সমিতির সদস্য হিসেবে দু’জনের নাম সরকার মনোনীত করেছে বলে শুনেছি। কলেজে কোনও নির্দেশ আসেনি। শোনা কথার উপর ভিত্তি করে তো ওঁদের বৈঠকে ডাকতে পারি না।”
অধ্যক্ষের দাবি, “শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠক রয়েছে ঠিকই তবে এই বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত। এটা এখন যে পরিচালন সমিতি রয়েছে, সেই সমিতির বৈঠক।” বিধায়ক শিউলিদেবীর পাল্টা দাবি, “সরকারি নির্দেশের প্রতিলিপি কলেজে পৌঁছে দিয়েছি। তাও অধ্যক্ষ কেন এমন বলছেন জানি না।” সরকারি নির্দেশের প্রতিলিপি প্রাপ্তির কথা অবশ্য মানছেন দীপকবাবুও। তাঁর কথায়, “একটা প্রতিলিপি পেয়েছি। তবে কলেজে সরকারি কোনও নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ এলে যা পদক্ষেপ করার নিশ্চিত ভাবেই করা হবে।”
কলেজের এক সূত্রে খবর, আজ, শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছাত্রভোটের বিষয় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কেশপুর কলেজে মনোনয়নপর্ব শুরু হয়েছে। চলবে আজ, শুক্রবার পর্যন্ত। দীপকবাবুর কথায়, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরিচালন সমিতির বৈঠক করতে হয়। শুক্রবার এই বৈঠক হবে।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেশপুর কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হন প্রাক্তন বিধায়ক রজনীকান্ত দোলুই। সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রজনীকান্তবাবুর নাম কলেজে আসে। পরে তিনিই সভাপতি হন। সরকার মনোনীত ২ জন প্রতিনিধির সমিতিতে থাকার কথা। এতদিন শুধু রজনীকান্তবাবুই ছিলেন। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকেরও সমিতিতে থাকার কথা। তবে গতবার যেহেতু ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, তাই সংসদের নতুন সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হয়নি। কেশপুরের বিধায়ক শিউলিদেবী বলেন, “আমি অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিচালন সমিতির নতুন সদস্যদের নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকার কথা বলেছি। তাও কেন উনি এমন করছেন জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy