প্রকল্পের জায়গায় দাবির পক্ষে বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
রামনগর-২ ব্লকের দাদনপাত্রবাড়ে প্রস্তাবিত ২০০মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে সঙ্কট আরও বাড়ল।
দাদদনপাত্র বাড়ে যেখানে প্রকল্প তৈরির কথা, সেই এলাকায় বন্ধ লবণকারখানার শ্রমিকেরা দাবি তুলেছেন পিএফ-সহ শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত প্রকল্প গড়া যাবে না। সেই মতো প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে পাওনা মেটানো নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় এ দিন বন্ধ লবণ কারখানার কর্মচারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বকেয়া না পেলে তাঁরা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলতে দেবেন না।
গত বছর ২৩ নভেম্বর থেকে মন্দারমণি সংলগ্ন দাদনপাত্রবাড় এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার মাটি, আবহাওয়া সমীক্ষার কাজ শুরু করে জার্মানির বিনিয়োগকারী সংস্থা কেএফডবলু। স্থানীয় রানিয়া-সহ পার্শ্ববর্তী আরও দুটি মৌজার সামান্য অংশ নিয়ে এই প্রকল্প গড়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। প্রকল্প গড়া নিয়ে প্রাথমিকভাবে সেখানকার মৎস্যজীবীরা জীবিকা এবং ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পরে তাঁদের নিয়ে ব্লক প্রশাসন স্তরে বৈঠকে সমস্যা মেটে। যদিও প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলেন ওই এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া লবণ কারখানার দেড়শো শ্রমিক। বেঙ্গল সল্ট নামে একটি বেসরকারি সংস্থা এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগের সেখানে লবণ কারখানা চলত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কারখানা বন্ধ। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তাঁরা শ্রম দফতর-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লিখিত অভিযোগ জানান। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন বন্ধ লবণ কারখানার কর্মচারীদের প্রতিনিধি হিসাবে ১১ জনকে কালিন্দী পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে বিডিও, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁদের। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, দীর্ঘদিনের বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ তাঁরা করতে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বন্ধ লবণ কারখানার কর্মচারীরা। কারখানার কর্মচারীদের নেতা মুক্তেশ্বর পড়্যা বলেন, ‘‘আমরা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে। কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া না মেটানো হলে আমরা আমাদের দাবি থেকে সরব না বলে প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘‘লবণ কারখানার কর্মচারীরা তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁদের বকেয়া সংক্রান্ত সমস্যা না মেটা পর্যন্ত বাকি অংশে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমরা আশাবাদী।’’ রামনগর -২ এর বিডিও অর্ঘ্য ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy