সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
‘অপরাধ’ তাঁর একটাই, তিনি নিজের পরিচয়টাই বলতে পারেন না। আর তাই থমকে তাঁর চিকিৎসাও। মাস দু’য়েক এ ভাবেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগী।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় আনুমানিক বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। দুর্ঘটনায় ওই ব্যক্তির ডান পায়ের উপরের একটি অংশ ভেঙেছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ওই পরিকাঠামো না থাকায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয়। কিন্তু কে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাবে, তা ঠিক করতেই হিমশিম স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টি পুলিশ ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েই দায় এড়িয়েছেন চন্দ্রকোনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। আর তাই দু’মাসেও শুরু হয়নি রোগীর চিকিৎসা।
নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনও রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই। রোগীর কোনও জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে বা রোগীকে রেফার করতে হলে সবরকম ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। অজ্ঞাতপরিচয় রোগীর পরিচয় জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না কেন? চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার গোপাল দে-র সাফাই, “আমরা তো রোগীর চিকিৎসা করছি। কিন্তু ওঁর দেখভাল কে করবে। ওঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালেজে ভর্তি করতে যাওয়ার কর্মীও তো নেই হাসপাতালে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বললেন, “সব থানায় ওঁর ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও পরিচয় জানা যায়নি।”
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছর পঞ্চাশের ওই ব্যাক্তির কথাবার্তা স্বাভাবিক। পায়ের ভাঙা অংশে যন্ত্রণা হলে হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্যও জোরাজুরি করছেন তিনি। কিন্তু নাম-ঠিকানা জানতে চাইলেই কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘দ্রুত ওই রোগীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy