প্রতীকী ছবি
লকডাউন শিথিল পর্বে প্রথম সপ্তাহান্ত। দিঘায় খুলেছে কয়েকটি হোটেল। কিন্তু প্রায় ফাঁকাই থাকল জেলার সৈকতের পর্যটন কেন্দ্রগুলি। কয়েকজন পর্যটক থাকলেও তাঁদের হোটেলের ঘর থেকে বার হতে দেখা গেল না।
শনিবার সকালে ওল্ড এবং নিউ দিঘায় স্বল্প সংখ্যক হোটেল খোলা ছিল। শুক্রবার নিউ দিঘার একটি হোটেলে পর্যটক থাকা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল। সেই হোটেলের ম্যানেজার অতনু দাস এ দিন বলেন, ‘‘এ দিন আশেপাশের হোটেলেও পর্যটকদের উঠতে দেখা যায়নি। তবে হোটেল বন্ধ রাখার দাবিতে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্ক সংলগ্ন এলাকায় যে মহিলা সংগঠনের সদস্যেরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের শুক্রবার রাতেই পুলিশ সতর্ক করে দেয়।’’ এর ফলে পর্যটকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করতে এ দিন স্থানীয়দের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি।
ওল্ড দিঘায় সমুদ্রতীরবর্তী কয়েকটি হোটেলের সামান্য সংখ্যক পর্যটক ছিল বলেন হোটেল মালিক সংগঠন সূত্রের খবর। যদিও তাঁরা শহর বা সৈকতে ঘুরে বেড়াননি বললেই চলে। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিন কোনও অশান্তি হয়নি। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মেনে হোটেল খোলা হয়েছিল। তবে খুবই অল্প সংখ্যক পর্যটক এদিন দিঘায় এসেছেন।’’
মন্দারমণিতেও হোটেল খুলতে গিয়ে স্থানীয়দের আপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা সত্ত্বেও এদিন মন্দারমণিতে বেশ কয়েকটি হোটেলের পর্যটক থাকার খবর মিলেছে। দুপুর নাগাদ দাদনপাত্রবাড়ে একাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ সমুদ্রেও নেমেছেন। মন্দারমণিতে হোটেল খোলা নিয়ে জটিলতা কাটাতে এ দিন বিকালে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকাবাসী এবং হোটেল মালিকদের নিয়ে একটি সভা হয়। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘‘আগামী ১৯ জুন থেকে দাদানপাত্রবাড়-সহ মন্দারমণির অন্য এলাকার সব হোটেলর খোলার ব্যাপারে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে হোটেলগুলিতে সঠিক স্বাস্থ্যবিদি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য পঞ্চায়েতের তরফে একটি ছয় সদস্যের দল তৈরি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy