সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর-১ ব্লকের বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই অনাস্থা বৈঠকে তৃণমূলের একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় প্রস্তাব পাশ হল। অপসারিত হলেন সিপিএম প্রধান লক্ষ্মী মুদি। বৈঠকে অবশ্য বাম কোনও পঞ্চায়েত সদস্য আসেননি। তৃণমূলের ১৪ জন সদস্য হাত তুলে অনাস্থায় সমর্থন জানান। এরপর ব্লক অফিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত অনাস্থার প্রিসাইডিং অফিসার সুরজিৎ পট্টনায়েক অনাস্থা পাশ করে দেন। যুগ্ম বিডিও মানস চক্রবর্তী বলেন, “একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় অনাস্থা পাশ হয়েছে। ভোটাভুটিতে যেতে হয়নি। আমরা এর প্রতিলিপি জেলা প্রশাসনে দেব। তারপরে প্রধান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হবে।”
বড়কোলা পঞ্চায়েতে ২২টি আসন। ২০১৩-র নির্বাচনে ১৫টি আসনে জিতে বোর্ড গড়ে বামেরা। তৃণমূল পায় ৭টি আসন। এক বাম পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যু হলেও সমীকরণ বদলায়নি। এ বার বিধানসভা ভোটের আগে দু’জন বাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে আসেন। তাদের আসন বেড়ে হয় ৯। ভোটের ফলপ্রকাশের পরে গত ৩০ মে ফের ২ জন বাম ও ২ জন বাম সমর্থিত নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার তৃণমূলের আসন হয় ১৩। ওই দিনই বিডিও অফিসে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে তৃণমূল। পরে আরও এক বাম সদস্যের দলবদলে ১৪টি আসন হয়েছে তৃণমূলের। আর বামেদের আসন হয়েছে ৭।
অনাস্থায় জিতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে মিছিল করে তৃণমূল। দলের অঞ্চল সভাপতি শেখ রিয়াজুদ্দিন বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের পদটি তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংক্ষিত। আমরা বাম সমর্থিত নির্দল হিসেবে জিতে পরে আমাদের দলে আসা মামনি মুদিকে প্রধান করব বলে ঠিক করেছি।” বাম সদস্যদের গরহাজিরা প্রসঙ্গে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক কমল পলমলের বক্তব্য, “আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যরা আগেই ঠিক করেছিলেন অনাস্থা বৈঠকে যাবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy