পাঁশকুড়ার পুরভোটে ১৮টি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। বুধবার তমলুকে মহকুমাশাসকের অফিসে ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাওয়াও হয়। কিন্তু অন্যরা মনোনয়ন জমা দিলেও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দলের মনোনীত প্রার্থী হয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না দলের একটি গোষ্ঠীর আপত্তিতে। যা নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এল দলের গোষ্ঠীকোন্দল।
শুধু মনোনোয়ন জমা না দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়, একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখা গেল এ দিন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মহকুমাশাসকের অফিস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য এসেছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে প্রমুখ। তৃণমূলের একাংশ সূত্রে খবর, দলের যুব নেতা আনিসুর রহমানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এ দিন কয়েকজন প্রাথী ও অনুগামীদের নিয়ে আলাদা ভাবে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন বিদায়ী পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র।
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে দলের কোন্দলের কথা অবশ্য মানতে চাননি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘পুরভোটে প্রার্থী পদের জন্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন মোট ১৭ জন মহকুমা শাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একটি ওয়ার্ডের প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া বাকি রয়েছে। তবে শীঘ্রই ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন। প্রার্থী নিয়ে দলে কোনও বিরোধ নেই। কেউ আলাদাভাবে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছে বলে আমার জানা নেই।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীপদের দাবিদার ছিলেন বিদায়ী কাউন্সিলর সুধাংশু শাসমলের স্ত্রী প্রতিভাদেবী-সহ মোট চার জন। শেষপর্যন্ত দলীয় নেতৃত্ব প্রতিভাদেবীকে প্রার্থী করে। সেই অনুযায়ী বুধবার অন্যদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে প্রতিভাদেবীকে প্রার্থী করায় আপত্তি জানায় দলেরই একাংশ। ফলে শেষ মুহূর্তে প্রতিভাদেবীকে মনোনয়ন জমা দিতে নিষেধ করা হয়। বাকি ১৭ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা অবশ্য মনোনোয়ন জমা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy