মানস ও দোলা ভিড় ঠেলে পাশেই একটি বাড়িতে থাকা নিহত ও আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। —নিজস্ব চিত্র।
এগরার বিস্ফোরণে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজনই এই কাজ করেছেন। ওই প্রতিনিধি দলে থাকা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ আবার ‘রাম-বামের আঁতাঁত’-এর অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি অশান্ত হতেই ‘কর্মসূচি’ বাতিল করে ফিরে যেতে হয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে মঙ্গলবার। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি খাদিকুল ছাড়ার কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী মানস, সাংসদ দোলা সেন, সৌমেন মহাপাত্র। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতিও। কিন্তু বিজেপির একটানা স্লোগান শোনা যায় সেখানে। বিক্ষোভের জেরে আর এগোতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষুব্ধ মানস বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু রাউডি অশান্তি পাকানোর ছক কষছিল। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা ফিরে যাচ্ছি।’’
শুভেন্দু নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তিনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে ওই ঘটনার তদন্তের দাবি করেন। পাশাপাশি, শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ ‘তৃণমূলের বড় নেতা’। ওই কারখানায় শুধু বাজি নয়, বোমাও তৈরি হত। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সেগুলো তৃণমূলকে সরবরাহ করতেন ভানু। এই ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফারও দাবি করেন।
শুভেন্দু ওই এলাকা থেকে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরেই ঘটনাস্থলে হাজির হন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে যখন গ্রামবাসীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় পিছন থেকে দলে দলে চলে আসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে তুলতে মানসদের রাস্তা ঘিরে ধরেন তাঁরা। মানস ও দোলা ভিড় ঠেলে পাশে একটি বাড়িতে নিহত এবং আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বজনহারাদের পাশে আছেন। যাঁদের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মানস ও দোলা। মানস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি আমরা। নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা দিতেই এখানে আসা। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার ফলিয়ে কিছু লোক চিৎকার করছিল। অকারণে শান্তি বিঘ্নিত করতে চেয়েছে ওরা। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। এটা বাম-রামের কাজ।” দোলা-মানসরা জানান, কার মদতে ওই বাজি কারখানা চলছিল, সেখানে পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের ভূমিকা কী ছিল, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy