নিজস্ব চিত্র।
শনিবার সকালে এক বিজেপি কর্মীদের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা দাঁতন ১ ব্লকের শরশঙ্কা এলাকায়। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই খু্নের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্য দিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে জোড়াফুল শিবির।
মৃতের নাম শ্রীকান্ত পাত্র (৬০)। শনিবার দুপুরে মৃতের স্ত্রী বাসন্তী পাত্র ও ভাই বাবলু পাত্র মেদিনীপুর জেলা বিজেপি-র কার্যালয়ে এসে জানান, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে শ্রীকান্তকে। আগের দিন রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর শরশঙ্কা দিঘিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে পরিবারের কাছে খবর পৌঁছয়, গ্রামের বকুলতলা খালের কাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নাকে রক্তের দাগ আর পাশে দুটো বাঁশ পড়ে থাকতে দেখে স্ত্রীয়ের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করছি।’’
গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতর তুঙ্গে। কেশিয়ারি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র সংযোজক মোসাব মল্লিক বলেন, ‘‘শ্রীকান্ত বিজেপি-র একজন সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের লোকজন আগেও ওকে বেশ কয়েক বার মারধর করেছিল। ওদের দলে যোগদানের জন্য শ্রীকান্তের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। গতকাল রাত থেকে ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পর আজ সকালে দেহ উদ্ধার হল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’ গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, বলেন বিজেপি জেলা সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রতুল দাস বলেন, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। শুনেছি মদ্যপ অবস্থায় পড়ে মারা গিয়েছে।’’ তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘বিজেপি খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। পুলিশ তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy