Advertisement
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
EM Bypass Murder

জিপিএস ট্র্যাকারে বাবার ‘প্রেমিকা’র লোকেশন খোঁজে নাবালক! বাইপাসে তরুণীকে খুন কী ভাবে

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে প্রকাশ্যে এক তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। পরে হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বাইপাসের ধারে রফিয়া সাকিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

বাইপাসের ধারে রফিয়া সাকিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩০
Share: Save:

ইএম বাইপাসের ধারে বৃহস্পতিবার রাতে যে তরুণীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, তাঁর ‘লোকেশন’ খোঁজা হয় জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করে। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া সংক্রান্ত বিবাদ। অভিযুক্ত এক মহিলা এবং নাবালক-সহ মোট তিন জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালককে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রফিয়া সাকিল শেখ। তাঁদের সম্পর্ক আন্দাজ করে ফেলে পরিবার। ফারুকের স্ত্রী এবং ১৬ বছরের পুত্র তাঁর ‘প্রেমিকা’কে খুনের পরিকল্পনা করেন। বাবার উপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করে নাবালক। তারই পরিণাম বৃহস্পতিবার রাতের হত্যাকাণ্ড।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফারুক এবং রফিয়া রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাইপাস ধাবার কাছে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। চারচাকার গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন দু’জন। তাঁদের অনুসরণ করতে করতে পিছনে আসে আরও একটি গাড়ি। তাতে চালক ছাড়াও ছিলেন ফারুকের স্ত্রী, পুত্র এবং নাবালকের তুতো ভাই। তরুণীকে খুনের পরিকল্পনা করে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা। বাইপাসে পৌঁছে আচমকা তরুণীর উপর তাঁরা চড়াও হন। ফারুকের স্ত্রী শাহজাদি ফারুক এবং তাঁদের ১৬ বছরের পুত্র ছাড়াও ছিলেন ওয়াসিম আক্রম নামের এক যুবক। তিনি নাবালকের তুতো ভাই।

তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় নাবালকই। গলাতেও কোপ মারা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলেন ওয়াসিম। পিছন থেকে তিনি তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর শরীরে একাধিক বার কোপ মারে ফারুকের পুত্র।

গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ফারুক। ফলে গাড়ি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও নখদর্পণে ছিল। জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে বাবার গাড়িকে অনুসরণ করতে তাই অসুবিধা হয়নি নাবালকের। বাবার পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই সে তরুণীকে খুন করে, অনুমান পুলিশের। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তার মা এবং দাদা। তারা তরুণীকে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক। তাঁরা যে গাড়িতে এসেছিলেন, তার চালকও সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তরুণী। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আপাতত তিন অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে।

অন্য বিষয়গুলি:

EM Bypass Murder Kolkata Crime Crime News EM Bypass
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy