মঙ্গলবার দিঘার বাজারে ১০ টনেরও বেশি ইলিশ আমদানি হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
পুবালি হাওয়ার সঙ্গে ঝিরঝিরে বৃষ্টির হাত ধরেই মরসুমের প্রথম ইলিশের দেখা মিলল দিঘায়। মঙ্গলবার দিঘার বাজারে ১০ টনেরও বেশি ইলিশ আমদানি হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে ইলিশের দাম বেশ কিছুটা কমবে।
দিঘার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারেও প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টন ইলিশ উঠেছে। আগামী কয়েক দিন এমন আবহাওয়া থাকলে ইলিশের খরা কাটবে বলেও আশা করছেন মৎস্যজীবীরা। পাশাপাশি, ইলিশের দামও নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে। শ্যামসুন্দর জানান, মঙ্গলবার প্রায় ১০ থেকে ১২ টন ইলিশ উঠেছে দিঘা মোহনায়। যে মাছগুলি দিঘা মোহনার বাজারে এসেছে সেগুলি আকারে বেশ বড়। সেই সঙ্গে স্বাদুও। ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাইকারিতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এক থেকে দেড় কিলো ওজনের মাছ কেজি প্রতি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার ইলিশ যে টাকায় বিক্রি হয়েছে তা, স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৪০০ টাকা বেশি বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
মঙ্গলবার যে ইলিশ দিঘায় উঠেছে তা মরসুমের প্রথম ইলিশ বলে শ্যামসুন্দরের দাবি। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ইলিশের দেখা না পেয়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কখনও কখনও ইলিশের দেখা মিললেও তা আকারে বড় এবং স্বাদবিহীন। তবে বিগত কয়েক দিন ধরে সমুদ্র উপকূলে আবহাওয়ার গতিপথ বদল হতেই দিঘা মোহনায় ইলিশের ঝাঁক উঠে এল বলেও মনে করেন তিনি। শ্যামসুন্দর বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন ধরে দিঘা উপকূলে পুবালি হাওয়া বইছে। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ইলিশ ওঠার জন্য এই আবহাওয়া অনুকূল বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy