চিকিৎসার অবহেলায় গর্ভেই সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল নয়গ্রামের খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। করুণা নায়েক নামে ওই প্রসূতির স্বামী এই মর্মে ঝাড়গ্রাম মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি বলেন, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে যদি অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হয়, তা হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভাতভাঙা গ্রামের বছর তেইশের প্রসূতি করুণা নায়েককে ২৩ শে এপ্রিল রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ঘণ্টা তিনেক পর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ঘণ্টা তিনেক আগেই করুণাদেবীর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি বর্তমানে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি।
করুণাদেবীর স্বামী মিহিরবাবুর দাবি, ‘‘স্ত্রীকে ২৩ এপ্রিল খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে নর্মাল ডেলিভারি হওয়ার কথা বলেন। এর পর রাত ২টো নাগাদ স্ত্রীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই স্ত্রীকে ওঁরা অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।’’ তিনি জানান, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কেন পাঠানো হল জানতে চাইলে বলা হয়, অবস্থা ভাল না হওয়ায় তাঁরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মিহিরবাবু জানান, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে আনার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রীকে পরীক্ষা করে জানান বেশ কিছুক্ষণ আগেই তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই তিনি ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্ত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy