বেলদায় সিপিএমের মিছিল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
বিপর্যয় থেকে উত্তরণের পথ হল লড়াই। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জোড়া কর্মিসভা থেকে সেই লড়াইয়ের বার্তাই দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, “দুনিয়াটা বদলাচ্ছে। আমাদের বিপ্লবী পার্টির যে চরিত্র তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। পার্টি কাঠামোর পুনর্বিন্যাস করতে হবে। তার জন্য মানুষের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ গড়ে তুলে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে।” সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মতে, “মানুষ কী চায় জানতে হবে। অভিজ্ঞতা আদানপ্রদান করতে হবে। তাহলেই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের শিকড় মজবুত হবে। আর সেই শিকড় কাটার ক্ষমতা তৃণমূল-বিজেপি কারও নেই।”
এ দিন ডেবরাচক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথমে কর্মী সম্মেলন করেন সূর্যবাবু। সেখানে ডেবরা, সবং, পিংলা, খড়্গপুর-২ ও কেশপুরের একটি অংশের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন সেরে নারায়ণগড়ের বেলদায় যান সূর্যবাবু। গত বিধানসভায় হারের পরে এ দিনই নারায়ণগড়ে প্রথম মিছিল করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। পরে কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়, দাঁতন-সহ পাঁচটি ব্লকের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন হয় বেলদায়।
নভেম্বর বিপ্লবকে সামনে রেখেই এ দিন ডেবরা ও নারায়ণগড়ে কর্মীদের ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সূর্যবাবু। স্বাধীনতা আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির ল়ড়াকু ভূমিকা মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একযোগে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সূর্যবাবু। তাঁর কথায়, “ব্যাঙ্ক থেকে পুঁজিপতিরা ধার নিয়েছে। ব্যাঙ্ক ১১ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করতে পারছে না। তাই ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে নোট বাতিল করে সাধারণ মানুষের থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করা হল। এতে তৃণমূলের কালো টাকা কিছু টাকা আছে। অবশ্য দাদা-দিদি সবার কালো টাকা বিদেশে আছে।”
এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল দুটি দলই ধর্মকে তুরুপের তাসের মতো ব্যবহার করছেন বলে এ দিন অভিযোগ করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। অবশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই ভাবছেন না বলে দাবি করেছেন। সূর্যকান্তবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে আসিনি। আমরা লড়াই নিয়ে আছি। আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে গিয়ে দেখা করে আসি তার পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভাবব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy