খড়্গপুর কলেজে ঘেরাও অধ্যক্ষ। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষার ফর্ম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করল কলেজ পড়ুয়ারা। বুধবার বিকেলে খড়্গপুর কলেজের ঘটনা। মূলত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা এই ঘেরাও-বিক্ষোভে সামিল হন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রতি ছ’মাস অন্তর সেমেস্টারের পরীক্ষার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ফি বৃদ্ধি করছেন। এই ফি অন্য কলেজের তুলনায় বেশি বলে অভিযোগ তুলে এ দিন দুপুরে সরব হন তাঁরা। অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে ফি কমানোর দাবি জানান ওই পড়ুয়ারা। তবে অধ্যক্ষ তাতে রাজি হননি, এমনই অভিযোগ তুলে ঘেরাও অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। এ দিন একই দাবিতে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেয় ছাত্র সংগঠন ডিএসও।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর থেকেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন সাম্মানিক স্নাতকস্তরে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হয়। সেই অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। তাই মঙ্গলবার বিকেলে ফর্ম পূরণের বিজ্ঞপ্তি দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ দিন সেই সক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়েই অতিরিক্ত ফি-র বিষয়টি জানতে পারেন পড়ুয়ারা। এর পরেই অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। সেই সময় পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিএসও প্রতিনিধিরা অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
অবশ্য অধ্যক্ষ ফি বৃদ্ধির আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন পড়ুয়ারা। একসময়ে তাঁরা অধ্যক্ষের অফিস ঘরের সামনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও এই বিক্ষোভে কোনও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানার ছিল না। ডিএসও-র জেলা সম্পাদক ব্রতীন দাস বলেন, “আমরা এ ভাবে তৃতীয় সেমেস্টারের মাত্রাতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।”
পড়ুয়াদের দাবি, গত বছর প্রথম সেমেস্টারে পড়ুয়াদের থেকে ভূগোল সাম্মানিকের ফর্ম পূরণে ১ হাজার ৯৫০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। তার পরে দ্বিতীয় সেমেস্টারে পরীক্ষার ফর্ম পূরণে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এ বার সব ছাপিয়ে গিয়ে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার ফর্ম পূরণে ৫ হাজার ১০০ টাকা জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনে শামিল ভূগোল বিভাগের ছাত্রী সোনালি সিংহের অভিযোগ, “প্রতি ছ’মাস অন্তর মাত্রাছাড়া পরীক্ষার ফি নেওয়া হচ্ছে। সকলের পারিবারিক অবস্থা তো সমান নয়।” কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষার ফি বৃদ্ধি হয়নি। আসলে এই শিক্ষাবর্ষের সেশন ফি সঙ্গে জুড়ে থাকায় মনে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চতুর্থ সেমেস্টারে এই পরীক্ষার ফি অনেক কমে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy