রাজকীয়: এই মূর্তিই শোভা পাবে অরণ্যশহরে। নিজস্ব চিত্র
আধুনিক ঝাড়গ্রামের রূপকার তিনি। তিরিশের দশকে ঝাড়গ্রাম এস্টেটের সিংহাসনে বসে প্রথমেই শিক্ষা-স্বাস্থ্যের আমূল সংস্কার করেন তিনি। ঝাড়গ্রামে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি হাসপাতালের জন্য জমি-অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। মল্লদেব বংশের শেষ রাজা সেই নরসিংহ মল্ল উগাল ষণ্ডদেবের পুর্ণাবয়ব মূর্তি বসছে ঝাড়গ্রামে।
স্বাধীন ভারতে তিনি ছিলেন ঝাড়গ্রামের প্রথম সাংসদ। জাতীয় কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হন। ওই সময় ঝাড়গ্রাম সংসদীয় ক্ষেত্রটি আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল না। নরসিংহের সময় থেকে ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবার জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। নরসিংহের নাতি দুর্গেশ মল্লদেব বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যানও বটে। ২০১৩ সালে তিনি পুরপ্রধান হওয়ার পরে বিভিন্ন মহল থেকে অরণ্যশহরে রাজা নরসিংহের মূর্তি বসানোর দাবি তোলা হয়। বেসরকারি উদ্যোগে একটি ট্রাস্টও তৈরি হয়। ঝাড়গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় রাজা নরসিংহর প্রায় আট ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। শিল্পী নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সুবীর পাল। পুরসভা সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে মূর্তিটি বসানোর দাবি উঠেছে।
দুর্গেশবাবু জানান, এ ব্যাপারে পূর্ত দফতর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। পুজোর আগেই মূর্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। ঝাড়গ্রাম শহরে ব্রোঞ্জের কোনও মূর্তি নেই। রাজা নরসিংহের মূর্তিই হবে প্রথম ব্রোঞ্জের মূর্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy