পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। নিজস্ব চিত্র।
দিঘার কাছেই নৈকালী মন্দিরে তৈরি হয়েছে নতুন পর্যটনস্থল। দিঘায় আগত পর্যটকদের কাছে এই জায়গা আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিল রাজ্য পর্যটন দফতর। আগামী দিনে এই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাসমান হাউস বোট এবং ভাসমান রেস্তরাঁ খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রবিবার দিঘায় এসে এ কথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি এবং তাজপুর কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতেই দিঘা সফরে এসেছেন তিনি।
রবিবার দিঘা সফরে এসে নৈকালী মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নৈকালী মন্দিরের পাশে সমুদ্রে দু’টি ভাসমান হাউস বোট রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। একটি ভাসমান রেস্তরাঁও থাকবে। পর্যটকরা ভাসমান হাউস বোটে রাত কাটাতে পারবেন।’’ শঙ্করপুরে একটি নতুন পর্যটন আবাস তৈরির ভাবনাচিন্তা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর পাশাপাশি হোটেল ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন ইন্দ্রনীল। রবিবার সন্ধ্যায় দিঘা ট্যুরিস্ট লজে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা। বৈঠক শেষে দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেছেন, ‘‘ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসায়ীরা ইয়াসের ধাক্কা কাটিয়ে যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই ক্যাম্প করে এই সংক্রান্ত আবেদন নেওয়া হবে। দিঘার উন্নতির জন্য কী কী কাজ করতে হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী।’’
রবিবারের পর সোমবারও পর্যটনমন্ত্রী রয়েছেন দিঘাতে। সোমবার সকালে তিনি বেরিয়ে পড়েন মন্দারমণি-সহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শনে। আগামী দিনে লকডাউন উঠে গেলেই পর্যটন শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়ায়, তার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy